কলকাতা ও শিলিগুড়ি: ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল, সৌরভ গাঙ্গুলি ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনসভায় থাকতে পারেন। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই খবরে দেশ জোড়া আলোচনা। এই প্রেক্ষিতে আলোচনার অন্য একটি দিকে রয়েছেন মহারাজ সুহৃদ হেভিওয়েট সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।

শিলিগুড়ির বিধায়ক ও সেখানকার পুর প্রশাসক অশোকবাবু বারবার বলেছেন, সৌরভ যেন রাজনীতি না করে। সৌরভ-অশোক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি রাজনীতিতে নামার বিষয়ে মুখ খোলেননি। আবার অশোক ভট্টাচার্যের ‘উপদেশ’ উড়িয়েও দেননি।

সৌরভ গাঙ্গুলি কে রাজনীতি তে না আসার পরামর্শ ফেসবুকে লিখেছিলেন শিলিগুড়ির সিপিআইএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর তিনি লেখেন, ” আজ সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে বসে সৌরভ আর ডোনার সাথে অনেক গল্প হলো ।

শিলিগুড়ির খবর, ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হলো । আমি ইলেকশনে লড়ছি কিনা তাও জানতে চাইলো!
তার জন্যে আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়ে রাখলো ।

রাজনীতির কথা প্রসঙ্গে আমার মত,ওর রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়া, তাও বলেছি। কথা প্রসঙ্গে বলেছি ক্রিকেট ওকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ চায় তা যেন অব্যাহত থাকে । ওর সাথে শিলিগুড়ির ক্রিকেট নিয়েও কথা হয় । ও সব রকম সহযোগিতা করবে। একবার এসব নিয়ে কথা বলতে শিলিগুড়িতে আসবে। তখন আমাদের বাড়িতে গিয়ে ওর কাকিমার সাথে দেখা করে আসবে বললো। ছবিটা তুলেছে ডোনা।”

অশোক ভট্টাচার্যের এই পোস্টের পরেই সৌরভ গাঙ্গুলির রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনার প্রসঙ্গ চাপা পড়ে। সূত্রের খবর, অশোক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, সৌরভ জানিয়েছে রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে তার নেই।

সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার সময় বন্ধু সৌরভ কে দেখতে বারবার এসেছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর বিষ্ফোরক মন্তব্য ছিল, মানসিক চাপের ফলে অসুস্থ হয়েছে সৌরভ। ডাকসাইটে বাম বিধায়কের এমন মন্তব্যের জেরে তীব্র আলোড়ন ছড়ায়। সুস্থ হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি ঘরে ফেরার পরে অশোকবাবুর সঙ্গে মহারাজের সেলফিতে ফের ঝড় উঠেছিল।

সম্প্রতি শিলিগুড়িতে এসে ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া সরাসরি অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। হামরো সিকিম দলের নেতা বাইচুং। অশোকবাবু কে শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে দেখেন এমনই বলেন বাইচুং। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই বাইচুং ভুটিয়াই শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হন। হেরে যান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।