প্যারিস: দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালত তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এক বিচারককে বেআইনিভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। নিকোলাস সারকোজির ৩ বছরের সাজা হলেও ২ বছরের সাজা সাসপেন্ড হয়েছে। অর্থাৎ সারকোজিকে হয়তো জেলে নাও যেতে হতে পারে।

২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে শাসনকাল ছিল নিকোলাস সারকোজির। এই সময়কালের মধ্যে একাধিক অভিযোগ ওঠে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি এক বিচারককে তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে মোনাকোতে সিনিয়র পদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন এই ফরাসি রাষ্ট্রপতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিচার চলাকালীন তিনি আদালতে বলেছিলেন যে তিনি “দুর্নীতির সামান্যতম কাজ কখনও করেননি”। কিন্তু তদন্তে নেমে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারে সম্পূর্ণ ভুল পথে চালিত করছেন সারকোজি। টেলিফোনে আড়ি পেতে সমস্ত প্রমাণ পান অফিসাররা।

এরপর ২০১২ সালে আরও একটি মামলায় ফাঁসেন সারকোজি। সেবারও তিনি দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন নির্বাচনী প্রচারে ২ কোটি টাকা গোপন করেন তিনি। সেই কারণে ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টও দেখিয়েছিলেন তিনি। ফ্রান্সের ইতিহাসে এই দুর্নীতি ‘বিগম্যালিয়ন স্ক্যান্ডাল’ নামে পরিচিত।

সব মিলিয়ে তিন বছর কারাবাসের সাজা হয়েছে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। ফ্রান্সের এক আদালত এই সাজা শুনিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ৩ বছরের মধ্য়ে তাঁর মধ্যে ২ বছরের সাজা মকুব হয়েছে। বাকি আর ১ বছর কারাবাস ভোগ করার কথা তাঁর। কিন্তু ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী কারোর এক বছর বা তার কম জেলের সাজা হলে তাঁকে জেলে নাও যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয় তাঁকে। মনে করা হচ্ছে নিকোলাস সারকোজিকেও হয়তো জেলে যেতে হবে না। গোটা সাজার মেয়াদ বাড়িতেই কাটাবেন তিনি। যদিও এনিয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।