বারাকপুর : ভাইয়ের আত্মহত্যার খবরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাইয়ের শোকে প্রাণ দিল বড় দাদা। মর্মান্তুিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগর গুরদহ এলাকায়।
সোমবার রাতে গুরদহ লিচুতলা এলাকার একটি পুকুর থেকে শিবম রায় (১৯) নামে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় । রাতে বড় দাদা দীপাঞ্জয় রায় সেই খবর শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । কিছুক্ষন পরে বাড়িতে খবর আসে বড় দাদা দীপাঞ্জয় রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে শ্যামনগর ২৫ নম্বর রেলগেটের পাশ থেকে ।
জানা গিয়েছে, সেও ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । শ্যামনগর গুরদহে একই পরিবারের ২ ভাইয়ের পরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার মা শম্পা রায়ের সঙ্গে দুপুরে ভাত খেতে বসেছিল দুই ভাই দীপাঞ্জয় ও শিবম । সেই সময় শিবম ভাত নষ্ট করলে বড় দা দীপাঞ্জয় ভাইকে কটু কথায় শাসন করে। তারপর ভাতের থালা রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শিবম। ২ দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার তার মৃতদেহ পাড়ারই পুকুরে ভেসে ওঠে। জগদ্দল থানার পুলিশ সোমবার রাতে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই খবর জানতে পেরে রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বড় দাদা দীপাঞ্জয়। শ্যামনগর ২৫ নম্বর রেল গেটের সামনে সে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়। তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৈহাটি জি আর পি।
মৃতের কাকিমা ডলি রায় বলেন, “ওদের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়। মা শম্পা লোকের বাড়ি কাজ করে সংসার চালাত। বড় ভাই দীপাঞ্জয় ছোট খাট কাজ করত, মাকে সাহায্য করত । গত শুক্রবার খেতে বসে ছোট ভাই খাবার নষ্ট করায় দাদা বকাবকি করে ছোট ভাইকে । তারপর ছোট ভাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই শুনে দাদাও ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওরা দুই ভাই চলে গেল, বাবাও নেই। কেউ মায়ের জীবনের কথা ভাবল না। ছোট ভাইকে দীপাঞ্জয় বকাবকি করেছিল, সেই জন্য ও নিজেকে ক্ষমা করতে পারে নি।”
গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শ্যামনগর গুরদহ লিচু তলা এলাকায় ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.