নয়দিল্লি: ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারি করাটা ভুল হয়েছিল। সেকথা মেনে নিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। যদিও তিনি সেই সময়টাকে আজকের সময়ের থেকে আলাদা হিসেবেই দেখেছেন । কারণ কংগ্রেস কখনই দেশের মৌলিক কাঠামো পাল্টানোর চেষ্টা করেনি বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেছেন। এই সব কথা উঠে এসেছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে আলোচনায়।

আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৌশিক বসু এক সময় ছিলেন দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা। তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর আলোচনায় উঠে এসেছে সেদিনের জরুরি অবস্থার পাশাপাশি বর্তমান ভারতের প্রসঙ্গ। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ মাস জরুরি অবস্থা ছিল । সেই সময় সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা চলে গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রাহুলের বক্তব্য,ওটা ভুল হয়েছিল এবং যা হয়েছিল তা অন্যায়।

রাহুল আরও জানান , সেই সময় জরুরি অবস্থার সময় সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা ব্যহত হয়েছিল। সংবাদ মাধ্য়ম রীতিমতো নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল এবং বহু বিরোধী নেতাকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। তবে মৌলিক দিক থেকে আজকের সঙ্গে সেদিনের পার্থক্য রয়েছে । সেটা যে পুরোপুরি ভুল সেটা তাঁর ঠাকুমাও বলেছিলেন তিনি উল্লেখ করেন।

রাহুলের বক্তব্য, কংগ্রেস কখনই অবশ্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে দখল করতে চায়নি আর সে ক্ষমতাও দলের নেই। আসলে দলটাই এমনভাবে গঠিত যে সেটা করা সম্ভব নয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) এবার দেশের মৌলিক গঠনটাকেই পালটে দিচ্ছে এবংসর্ব ক্ষেত্রে নিজেদের লোকে দেশটা ভরিয়ে দিচ্ছে। এরই রেশ টেনে রাহুলের জানিয়েছেন, এরফলে যদি তারা বিজেপিকে কখনও হারিয়েও দেয় তখনও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে ওদের লোক থেকে যাবে যাদের সরাতে পারা যাবে না।

এই কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তাঁর বক্তব্য, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ হলেও তিনি বরিষ্ঠ আমলারদের দিয়ে কিছুই করাতে পাচ্ছিলেন না কারণ তারা তাঁর কথাই শুনতেন না যেহেতু ওই সব লোকগুলি হলেন আরএসএস-এর প্রতিনিধি। এরফলে তাদের কিছু করতে বলা হলে সেটা তাঁরা করতেনই না।

যদিও বারবারই কংগ্রেস বিরোধীরা বিশেষত বিজেপিকে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রসকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। গত জুন মাসেও অমিত শাহ কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে একাধিক টুইট করেছিলেন। যাতে বলা হয়েছিল, একটা পরিবার শুধু ক্ষমতার লোভে গোটা দেশটাকে জেল খানা বানিয়ে দিয়েছিল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।