বাঁকুড়া : ফের ‘দাদার অনুগামীদের’ পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায়। মঙ্গলবার জেলার ‘শিল্প শহর’ হিসেবে পরিচিত বড়জোড়া চৌমাথার মোড়ে একটি চায়ের দোকানের দেওয়ালে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বোপরি ওই দলের নির্বাচনী প্রতিক পদ্মফুল চিহ্ন যুক্ত পোষ্টার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই জায়গায় লাগানো একাধিক পোষ্টারে লেখা রয়েছে, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, দাদা বাংলার ঘরে ঘরে’। একই সঙ্গে ‘বাংলার ছেলেকে বাঙালিরা বাংলার সিংহাসনে দেখতে চায়। জঙ্গল মহলের ৬১ টি আসনে দাদার অনুমোদিত প্রার্থী চায়, এবং বাংলার সিংহাসনে দাদাকেই দেখতে চাই। -আমরা দাদার অনুগামী ।’ সবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর ছবির নিচে ‘বাংলার ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী’ লেখা রয়েছে।
ভোটের আগে ঝকঝকে ছাপা এই পোস্টার ঘিরে বেজায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আর পুরো বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরাও।
সংশ্লিষ্ট চা দোকানের মালিক শীতেন্দু দাস বলেন, সকালে দোকান খোলার সময় বিষয়টি নজরে আসে। তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। ঠিক তার পরেই বিজেপির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পুরো বিষয়টি শাসক দলের পরামর্শ পি.কে ও তার টিমের কাজ বলে তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে পুরো ঘটনা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সিপিআইএম নেতা সুজয় চৌধুরী বলেন, আজকে যারা তৃণমূল, কাল তারাই বিজেপি। আবার তার পরের দিন তারাই তৃণমূলে আসতে পারে। এরা কিভাবে রোজগার করবে, বিধায়ক হবে বা কার গ্রুপের কত জন বিধায়ক হতে পারে তার চেষ্টা করছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলে আবার তাদের পরিবর্তন ঘটবে। পুরো বিষয়টি ‘ঘৃণ্যতম ঘটনা’ দাবি করেন মানুষের রুটি, রুজি, কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা না করে নিজেদের রোজগার বাড়াতেই এরা ব্যস্ত বলে তিনি দাবি করেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.