দোহা: ১২ মাস পর টেনিস কোর্টে প্রত্যাবর্তনটা ভালই করলেন সানিয়া মির্জা। ডাবলস পার্টনার আন্দ্রেজা ক্লিপ্যাচকে সঙ্গে নিয়ে কাতার টোটাল ওপেনে (ডব্লু টি এ টুর্নামেন্ট) জয় দিয়ে শুরু করলেন টেনিস সুন্দরী। ইউক্রেনের কিচেনক জুটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল ইন্দো-স্লোভেনিয়ান জুটি। সানিয়া-ক্লিপ্যাচ জুটির পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৪, ৭-৬ (৫), ১০-৫।

গতবছর ফেব্রুয়ারিতে কাতারের মাটিতে দোহা ওপেনেই শেষবার কোর্টে নেমেছিলেন সানিয়া। উল্লেখ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে এদিনের প্রতিপক্ষ নাদিয়া কিচেনককে ডাবলসে সঙ্গী করে ২০২০ জানুয়ারিতে টেনিস কোর্টে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল সানিয়ার। প্রত্যাবর্তনে হোবার্ট ওপেনে খেতাবও জিতেছিলেন সানিয়া-কিচেনক জুটি। সোমবার প্রথম সেটে কিচেনক সিস্টার্সদের বিরুদ্ধে ০-৩ পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ফিরে আসেন সানিয়া-ক্লিপ্যাচ জুটি। তবে প্রথম সেট জিতে নিলেও দ্বিতীয় সেটে প্রত্যাবর্তন ঘটে কিচেনক জুটির।

তবে লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। ১-৩ পিছিয়ে পড়া ইন্দো-স্লোভেনিয়ান জুটি ফের একবার দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে নিয়ে যান। যদিও শেষরক্ষা করতে পারেননি সানিয়া-ক্লিপ্যাচ জুটি। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচ সুপার টাইব্রেকারে নিয়ে যান কিচেনক সিস্টার্স। সুপার টাইব্রেকার ১০-৫ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার নিশ্চিত সানিয়া এবং তাঁর পার্টনার।

সবমিলিয়ে করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর প্রয়োজনীয় যে আত্মবিশ্বাস, সেটা এই ম্যাচ জিতে জুগিয়ে নিলেন সানিয়া এবং তাঁর স্লোভেনিয়ার পার্টনার। পাশাপাশি এই ম্যাচে বেশ কিছু কামব্যাক দু’জনকে শেষ আটের লড়াইয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সানিয়া। দু’বছরের ছোট্ট পুত্র সন্তান ইজহানের নিরাপত্তার জন্য তাঁর থেকে আলাদা নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছিলেন হায়দরাবাদি। সানিয়া এও বলেছিলেন, করোনা কোনওভাবেই মশকরা করার বিষয় নয়। প্রত্যেককে আগাম সতকর্তামূলক সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

এর আগে ২০২০ এশিয়া-ওশিয়ানিয়া ক্যাটেগরিতে দেশের হয়ে প্রথম ফেড কাপ হার্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন সানিয়া। ১০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে জেতা অ্যাওয়ার্ডের অর্থমূল্য তেলেঙ্গানা সরকারের হাতে সানিয়া তুলে দিয়েছিলেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।