নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ৪৫ বছরের ওপরে বয়স্কদের যদি কোমর্বিডিটি থাকে তারাও দ্বিতীয় দফার টিকা পাবেন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে প্রথম দিন CoWin পোর্টালে ২৫ লক্ষ লোক ভ্যাকসিনেশনের আবেদন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম দিনই দেশীয় টিকা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন। এছাড়া সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই দুটি টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রেই কিছু বাধ্যবাধকতা ও বিধিনিষেধ রয়েছে।
কারা কোভ্যাক্সিন নিতে পারবে না?
যাদের অ্যালার্জি, জ্বর বা রক্তপাতজনিত সমস্য়া রয়েছে তারা কোভ্যাক্সিন নিতে পারবে না। এছাড়া গর্ভবতী মহিলা, যারা স্তন্যপান করাচ্ছে, আগে কোনও করোনা টিকা নেওয়া হয়েছে বা যাদের গুরুতর কোনও অসুখ রয়েছে তাদের কোভ্যাক্সিন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কোভ্যাক্সিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যারা কোভ্য়াক্সিন নেবে বা নিচ্ছে তাদের সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন ইনজেকশন নেওয়ার জায়গায় ব্যথা, তার আশপাশের অঞ্চলে লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি হতে পারে। এছাড়া হাতের উপর দিকটা শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গা হাতে পায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, হালকা জ্বর, দুর্বলতা, ব়্যাশ, বমি বমি ভাব, বমি হতে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হালকা অ্যালার্জি হতে পারেও জানিয়েছে কোম্পানি। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, গলা ও মুখ ফুলে যাওয়া, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
কারা কোভিশিল্ড নিতে পারবে না?
সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে যাদের কোনও ওষুধ, খাবার বা অন্য কোনও টিকায় অ্যালার্জির হতে পারে তারা যেন কোভিশিল্ড না নেয়। এছাড়া জ্বর ও রক্তপাত সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও কোভিশিল্ড এড়িয়ে চলা ভাল। এছাড়া যারা গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্সির পরিকল্পনা করছে তারা যেন কোভিশিল্ড না নেয়। পাশাপাশি স্তন্যপান করাচ্ছে যে সব মহিলা তাদেরও কোভিশিল্ড না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর অন্য কোনও করোনা ভ্যাকসিন নিলে নেওয়া যাবে না কোভিশিল্ড।
কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ইনজেকশন নেওয়ার পর গ্রহীতার শরীতে ব্যথা, গরম অনুভূত হওয়া, লালচে ভাব, চুলকানি, ফোলা ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া অবসাদ অনুভূত হতে পারে, হতে পারে মাথা ব্যথা। পেশিতে টান ধরা, গাঁটে যন্ত্রণা, অসুস্থতা অনুভব করা, জ্বর, বমি, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গলা খুসখুস, সর্দি, কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.