ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরই জট কাটতে শুরু করে
এদিন আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকির সঙ্গে জোট বৈঠক করেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম ও আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে আব্বাসের দলকে কংগ্রেস আটটি আসন ছাড়বে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে ছ-টি এবং দক্ষিণবঙ্গের দুটি আসন রয়েছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরই জট কাটতে শুরু করে।
আব্বাস সিদ্দিকির দলকে আসন ছাড়ছে কংগ্রেস
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। নৌসাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতে আটটি আসন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তার মধ্যে রয়েছে মধ্যমগ্রাম ও মুরারই আসন। পূর্ব ক্যানিংও ছাড়া হতে পারে আব্বাস সিদ্দিকির দলকে এমন আভাস মিলেছে।
অনেক কম আসনে রফা হয়েছে, আমরা জোটের স্বার্থে
আব্বাস সিদ্দিকি নিজে হুগলির এক ধর্মীয় সভা থেকে জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের কাছে আমরা ৪০টি আসন চেয়ছিলাম, তারা ৩০টি আসন দিয়েছে। আমরা তাই মেনে নিয়েছি। বামফ্রন্ট অনেক বড় দল। আর কংগ্রেসের কাছে আমরা চেয়েছিলাম যে সংখ্যাক আসন, তার থেকে অনেক কম আসনে রফা হয়েছে, আমরা জোটের স্বার্থে তাই মেনে নিয়েছি।
জোটকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ বোঝাতে নয়া পরিকল্পনা
তিন দলই ঐক্যমত্য হয়ে ১০০ শতাংশ জোট নিশ্চিত করতে চাইছে। ইতিমধ্যে বামফ্রন্ট প্রার্থী ঘোষণার দিনক্ষণ স্থির করে ফেলেছে। ৮ মার্চ বামেরা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। ওইদিন তাঁরা কংগ্রেস ও আইএসএফকে সঙ্গে করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চায়। জোটকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ বোঝাতেই এই পরিকল্পনা বামেদের।