মালদহ: “বাংলায় কর্ম সংস্থানের জন্য এক সময় উত্তরপ্রদেশের যুবকরা আসতো। এখন উল্টোপুরাণ। বাংলার মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি যেতে হয়। বিজেপির সরকার আনুন বাংলার ভাগ্য ফিরবে এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এখানকার মানুষকে অন্য জায়গায় কাজ করতে যেতে হবে না। বিজেপি সরকার গড়লে বাংলায় গো হত্যা বন্ধ করা হবে।” মঙ্গলবার মালদা গাজোল কলেজ ময়দানে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিনের সভায় যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী,বাবুল সুপ্রীয়,বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ সহ রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন বেলা ১ টা ৪০ নাগাদ তার হেলিকপ্টার গাজোল কলেজ ময়দানে পৌঁছায়। বলা হচ্ছে এদিনের এই সভায়, প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়েছিল। সভায় প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন যোগী। তিনি বলেন “রামকৃষ্ণদেব ,রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দের বাংলা এখন চোরাচালান ও সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার সবকিছু দেখেও দেখে না। এই সন্ত্রাসবাদীরা কেবল বাংলার নয় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার উন্নয়ন তো দূরের কথা কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প গুলির যেগুলি সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষ পায় সেগুলো থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এই রাজ্যে দুর্গাপুজো বন্ধ হয়। মহরম চলার অনুমতি দেয়। “

উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে তিনি বলেন “উত্তরপ্রদেশে যেমন একদিকে দুষ্কৃতী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। ঠিক সেই মতো সেখানে সমস্ত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সব ধর্ম মত নির্বিশেষে করা হয়। কেউ বাধা হয়ে দাড়ায় না। জয় শ্রীরাম শুনলে এই রাজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। মানুষ একে অপরের সাথে দেখা হলেও রামরাম বলে ও কোন মানুষের মৃত্যু হলে শ্মশানে যাওয়ার সময়ও রাম নাম নেওয়া হয়। রামকে ছেড়ে ভারত থাকতে পারে না। যারা রামকে ছাড়ে তাদেরকে মানুষ ছেড়ে চলে যায়। “

সিএএ নিয়েও রাজ্য সরকারের ওপর নিশানা করেন যোগী। তিনি বলেন, “সিএএ আইন নিয়ে এই রাজ্যে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ হয় কিন্তু রাজ্য সরকার কিছু দেখেও দেখে না। আমি বাগডোগরা থেকে মালদায় আসছিলাম সেই সময় নিচে দেখছিলাম পাকা বাড়ির সংখ্যা প্রায় নেই গ্রামেগঞ্জে। উত্তরপ্রদেশ সরকার ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানে সমস্ত গরিব মানুষকে পাকা বাড়ি দিয়েছে। সমস্ত মানুষের বাড়িতে শৌচালয় বানানো হয়েছে। একটা সময় এনকেফেলাইটিস এ আক্রান্ত তো উত্তরপ্রদেশের মানুষ বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ এনকেফেলাইটিস মুক্ত।

বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উত্তরপ্রদেশে গো হত্যা ও গোরু পাচার বন্ধ করা হয়েছে। এই রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে গো হত্যা ও গরু পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।