শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : প্রার্থী তালিকায় ২০২১-এর বিধানসভা নির্ব্বাচনে (Assembly Election) তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ৪০ বছরের মধ্যে যাদের বয়েস তাঁদের এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে তাঁদের অপেক্ষাকৃত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সিপিএম। সিপিএম দলের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ফলে সিপিএম- (CPM) প্রবীণদের দল, সেই নাম এবার ঘুচতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম দলের বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ও দলের বাইরে অভিযোগ ছিল প্রবীণেরা জায়গা আটকে রেখেছেন। তরুণ প্রজন্মের বহু নেতা, কর্মী দলে থাকতেও তাদের উপযুক্ত জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। সিপিএম বিরোধী অন্যান্য দলেরও সিপিএম-এর বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ ছিল। বিরোধীরা সিপিএমকে বুড়োদের দল বলে প্রচার করছিল। এবার সেই অভিযোগ থেকে সিপিএম নিজেদের বের করতে পারবে বলেই তাদের দাবি।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেবের (Robin Deb) সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, “আমাদের দলে আমরা এবার তরুণ প্রজন্মকে প্রার্থী (Candidate) করার ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। পার্টিতে এই সিদ্ধান্তটা গৃহীত হয়েছে। মূলত যাদের বয়েস ৪০-এর মধ্যে, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।” রবীন দেব আরও জানান, “আজ সোমবার এই বিষয়ে সিপিএম-এর বৈঠকে রয়েছে। সেখানেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচনের দফা অনুযায়ী সিপিএম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।
তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে পাশাপাশি প্রচার করতে সিপিএম-এর এবার বাড়তি সময় লাগছে। কারণ প্রথমত দফা অনুযায়ী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলে প্রার্থীর নাম দিয়ে প্রচার, দেওয়াল লিখন করতে অসুবিধা হবে। পাশাপাশি আরও সমস্যা হবে জোটের সমস্যা সম্পূর্ণভাবে না কাটায়। তবে এই বিষয়গুলোকে তেমন গুরুত্ব দিত্যে চাইছে না সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তারা নীতির ভিত্তিতে সারা বছর প্রচার করে। তাই প্রার্থী ত্তদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, নীতিই প্রধান।
প্রসঙ্গত সিপিএম দলে তরুণ প্রজন্মের বহু নেতা-কর্মী রয়েছেন। এদের মধ্যে এসএফআই (SFI), ডিওআইএফআই -র (DYFI) বহু নেতা-কর্মী রয়েছেন যাদের গ্রহণযোগ্যতা জনমানসে রয়েছে। শতরূপ ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আভাস রায় চৌধুরীরা আগেই প্রার্থী হয়েছেন। ঋতব্রত বর্তমানে সিপিএম থেকে বহিস্কৃত হয়ে তৃণমূলে রয়েছেন। তবে এবারের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য 9Srijann Bhattacharya),সায়নদীপ মিত্ররা (Sayondip Mitra)। এছাড়াও সিপিএম-এর সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে বেশ কিছু তরুণ ব্যক্তিত্বকেও প্রার্থী করা হবে। আজ সোমবার এই বিষয়ে সিপিএম-এর বৈঠকে রয়েছে। সেখানেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.