নয়াদিল্লি : গালওয়ান ভ্যালিতে কতজন চিনা সেনা নিহত হয়েছে, তার হিসেব জানে না খোদ চিনই। চারজন, ৯জন নাকি ১৪জন, কত জন চিনা সেনা ভারতীয় সেনার হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তার হিসেব নেই বেজিংয়ের কাছে। ২০২০ সালের ১৫ই জুন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনা সেনা। এতদিন চিনের দাবি ছিল তাদের ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি। তবে তারা ভারতের ২০ জন সেনাকে শহিদ করে বড় ক্ষতি করতে পেরেছে। কিন্তু কত ক্ষতি হয়েছে চিনের তরফে তা জানানো হয়নি।
আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলেছিল, কতজন সেনা মারা গিয়েছে তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই চিন মুখ খোলেনি। কারণ তাহলে বেজিংয়ের ভয়াবহ ভুল সামনে চলে আসতে পারে। তবে এখন গলেছে দু-দেশের সীমান্ত উত্তাপের বরফ। সম্প্রতি নয়াদিল্লির হাতে এসেছে এমন কিছু উপগ্রহ চিত্র যা দেখে ভারত দাবি করছে চিনা সেনার দখল মুক্ত প্যাংগং লেক। দুই পক্ষের সেনাই সরে এসেছে প্যাংগং লেকের পাশ থেকে বলে খবর।
যতদিন গড়িয়েছে, একের পর এক তথ্য সামনে তুলে ধরেছে চিন। দিন কয়েক আগেই রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের রিপোর্ট জানায় ২০২০ সালে ১৫ই জুন যে সংঘর্ষের পরে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা গিয়েছিল, সেই সংঘর্ষেই খতম করা হয়েছিল ৪৫ জন চিনা সেনাকে। দুই পক্ষই হামলার আগে ৫০ হাজার ট্রুপ পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করে রেখেছিল। উল্লেখ্য, গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘাতে চিন কখনই তাদের সেনাবাহিনীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি। অবশেষে ফাঁস হয় সেই তথ্য।
চিনের দাবি ছিল তাদের ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি। তবে তারা ভারতের ২০ জন সেনাকে শহিদ করে বড় ক্ষতি করতে পেরেছে। তাদের দাবি যে ভুয়ো ছিল, তা সংবাদসংস্থা তাসের রিপোর্টেই দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রমাণিত হয় চিনের দ্বিচারিতা। গালওয়ান সংঘর্ষ ঘটার দীর্ঘদিন পরেও চিন সরকার হতাহতের সংখ্যা তুলে ধরতে পারেনি।
আমেরিকার ব্রেইটবার্ট নামে এক সংবাদ সংস্থা জানায়, মৃতদের পরিবারের লোকজন চিনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-তে ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার থেকে তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। চিনের ভয়, পিপলস লিবারেশন আর্মির সৈনিকদের মৃত্যুর খবর সারা বিশ্বে জানাজানি হলে সরকারকে লজ্জায় পড়তে হবে। চিনের সরকার জানায়, করোনা সংক্রমণের ভয়েই দেহগুলি পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু মৃতদের পরিবারের লোকজনের ধারণা, সরকার সেনাদের মৃত্যুর কথা গোপন করতে চায়
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.