সকালে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক
এদিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বসেছিল। দিন কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ এই নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেছিলেন। এই কমিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। এদিন বৈঠকে ২০ মিনিট থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরেও এই বৈঠক চলে বেশ কিছুক্ষণ।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত
এদিন নির্বাচনী কমিটির বৈঠকের পরে তৃণমূল ভবনে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এদিন নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই ৮০ বছরের ওপরের বিধায়কদের নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বয়স ছাড়াও তাঁদের অসুস্থতার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। কেননা এখন বিধায়কদের জনসংযোগের কাজ ছাড়াও বাড়তি অনেক কাজ করতে হয়। এব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই আশির ওপরে বয়স্করা পেরে ওঠেন না।
বাদ পড়তে পারেন যাঁরা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যদি এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ৮০ বছরকে বেধে দেওয়া হয়, তাহলে বাদ পড়তে পারেন ভাঙড়ের আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। বাদ পড়তে পারে ব্রজ মজুমদার, শিবপুরের জটু লাহিড়ী, বর্ধমান উত্তরের রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এঁগের মধ্যে জটু লাহিড়ী আগেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এবং রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন তিনি আর প্রার্থী হতে চান না।
স্বচ্ছদের গুরুত্ব
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যাঁদের আছে তাঁদেরকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর জন্য ২০১৯-এ প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করার পর থেকে তিনি এবং তাঁর সংগঠন আইপ্যাক জেলায়-জেলায় বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীর খোঁজ করেছে। কোথাও কোথাও বিরোধীদলের প্রার্থীদের সঙ্গেও আইপ্যাক কথা বলে। সেই অনুযায়ী তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে টলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তবে তাঁদের সবাইকে টিকিট দেওয়া নাও হতে পারে। কাদের কতটা জনসংযোগের ক্ষমতা রয়েছে, তাও যাচাই করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক।