১৯৭৭ সালে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটটা ছিল মূলত কংগ্রেসের নেগেটিভ ভোট। কিন্তু ১৯৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের সময় পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ৭৭ সালে লোকসভায় ইন্দিরা গান্ধীকে হারিয়ে জনতা পার্টি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলেও তা পুরো মেয়াদ কাটাতে পারেনি। দেখা গেল তিন বছরেরও কম সময় পর ১৯৮০ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় । কিন্তু গোটা দেশে মতো ইন্দিরাকে ফেরাতে ততটা উৎসাহ দেখা যায়নি পশ্চিমবঙ্গে। কারণ সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট কংগ্রেসকে কেমন যেন জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। ১৯৮২ সালেও তেমনই অবস্থা।

এই পাঁচ বছর রাজ্যে বাম জমানায় খরা বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কংগ্রেসের অন্তর বিরোধী ক্ষমতাসীন সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে সুবিধাজনক জায়গায় ঠেলে দিয়েছিল। প্রথমদিকে কেন্দ্রে বন্ধু জনতা সরকারের কাছ থেকে সাহায্য মিলে ছিল। ফলে ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় , ‘কাজের বদলে খাদ্য’ গ্রামীণ পুনর্গঠন ইত্যাদি প্রকল্পের কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা ভালোই মিলেছিল। ‌ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষও যেন সিপিএমকে আঁকড়ে ধরতে চাইল। জনগণের কাছে জনপ্রিয় হতে সুবিধা পেলে সিপিএম।

আশিতে কেন্দ্রে কংগ্রেস হয়েছে ফলে সিপিএমের আশঙ্কা ছিল ,বামফ্রন্টকে সরিয়ে দিয়ে পরবর্তী বিধানসভার নির্বাচন করা হতে পারে। সেই সম্ভাবনা দূর করতে সিপিএম মাঠে নেমে পড়ল। ১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের জ্যোতি বসু প্রস্তাব রাখলেন বামফ্রন্টের তত্ত্বাবধানেই পরবর্তী নির্বাচন করতে হবে। বর্ষার কথা চিন্তা করে তৎকালীন রাজ্য সরকার ১৫ মার্চের আগে ভোট করার অনুরোধ করেছিলেন। শেষমেষ তাই হল যে মাসে আরও কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে।

তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ১৯৮২ সালে বামফ্রন্ট আরও শক্তিশালী হয়েছে কারণ ইতিমধ্যে বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিপিআই, পশ্চিমবঙ্গ সোস্যালিস্ট পার্টি এবং ডিএসপি । অন্যদিকে কংগ্রেস (আই) এবং কংগ্রেস (এস) জোট বেধেছে। ১৯মে ভোট হল । আগের মতই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বামফ্রন্ট জিতে ক্ষমতায় এল। ইন্দিরা কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে ৪৯ হল‌ এবং প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এল ‌। কিন্তু জনতা পার্টি ‌ প্রায় মুছে গেল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মেরুকরণ হল- বাম বনাম কংগ্রেস (আই)তে। বামফ্রন্ট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৩৮টি আসন জিতল। এমন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এই ভোটে বেশ কিছু অঘটন ঘটে ছিল। ছয় জন বামমন্ত্রী পরাজিত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন – বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য , অশোক মিত্র, পার্থ দে। নির্বাচনের পর জ্যোতি বসু ফের জিতে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। হাসিম আব্দুল হালিম হলেন বিধানসভার স্পিকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।