আমেদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ টেস্ট শুরু হবে বৃহস্পতিবার। এই টেস্টে হারলেই একমাত্র আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছাতে পারবে না ভারত। সিরিজে এগিয়ে আছে বিরাট কোহলির দল, আর যে ছন্দে রয়েছে গোটা দল তাতে ইংল্যান্ডের জেতা খুবই কঠিন। শেষ পাঁচটি টেস্ট ইনিংসে ২০০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি জো রুটের দল। টার্নিং ট্র্যাকে স্পিন-জুজুর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ইংল্যান্ড। তবু সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইংল্যান্ড। নিজেরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। এবার ভারতের যাত্রাভঙ্গই লক্ষ্য ইংল্যান্ডের।
ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার বেন ফোকস মনে করছেন, চতুর্থ টেস্টের উইকেটের চরিত্র বিশেষ বদলাবে না। প্রথম থেকেই বল ঘুরবে। তাঁর কথায়, আগের দুটি টেস্টে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে ভারত। তবে আমরাও চতুর্থ টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর অবস্থায় রয়েছি। ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র রাখা কম কৃতিত্বের কথা নয়। ফোকস বলেন, ভারত ভালো খেলছে। কয়েকজন দারুণ ভালো স্পিনার রয়েছেন। আমরা তাঁদের সেভাবে সামলাতে পারিনি এটাও ঠিক। তবে আগের ম্যাচগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে পজিটিভ থেকে নিজেদের কৌশল সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই স্পিনারদের বিরুদ্ধেও আমরা বড় রান করতে পারি। স্কোরবোর্ডে বড় রান উঠলেই বিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে। ভারত আমাদের স্পিন দিয়েই সমস্যায় ফেলতে চাইবে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম বল থেকে বল ঘুরলে কীভাবে খেলতে হবে সে বিষয়েই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।
জস বাটলার বিশ্রাম নেওয়ায় টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন ফোকস। বাটলার এলে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এই বছর ইংল্যান্ডের প্রচুর টেস্ট রয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী তাঁর সামনে ফের সুযোগ আসবে। ভারতের ঘূর্ণি পিচের পিছনে থেকে উইকেট থেকে উইকেটকিপিং করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। ফোকস বলেন, এমন ঘূর্ণি উইকেট আগে দেখিনি। শেষ দুটি টেস্টে কিপিং করা সত্যিই কঠিন ছিল। বিশেষ করে গোলাপি বল পিচে পড়ে যেভাবে ঘুরছিল বা গতি বাড়িয়ে সোজা আসছিল। তবে এমন উইকেটে কিপিং করার চ্যালেঞ্জ সত্যিই উপভোগ করছি।