'২০১৬ সালে বিপিএফ-এর সাহায্যেই সরকার গড়েছিল বিজেপি'
বিপিএফ-এর শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, ২০১৬ সালে বিপিএফ-এর সাহায্যেই সরকার গড়েছিল বিজেপি। বিপিএফ-এর অভিযোগ, তারা ভেবেছিল বিজেপি সরকারে এসে বদল আনবে। তবে এমন কিছুই হয়নি। যা নিয়ে তারা বিরক্তি প্রকাশ করেছে। বিপিএফ-এর অভিযোগ, বিজেপি সাধারণ মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করে চলেছে।
বিজেপির জেরে অসমের সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে
বিপিএফ-এর অভিযোগ, বিজেপির জেরে অসমের ভাষায়, সংস্কৃতিতে, ঐতিহ্যে, ভাষায় বদল আসছে। এটা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছে না। তাদের আরও অভিযোগ, বিজেপি যেভাবে বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল দখল করেছে, তা অনৈতিক। এবং বিজেপির উদ্দেশে তাদের হুঁশিয়ারি, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সামনে এবার দাঁড়াতে পারবে না বিজেপি।
আগেই বিপিএফকে বিদায় জানিয়েছিল বিজেপি
কংগ্রেস ছাড়াও অসম গণ পরিষদের সঙ্গেও জোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিল বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তবে শেষমেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে হাত মেলাল তাঁরা। অবশ্য বিপিএফকে আগেই বিদায় জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। অসমের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেরাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তরপূর্ব ভারতে বিজেপির চাণক্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিপিএফ-এর সঙ্গে জোট গড়বেন না তাঁরা।
নতুন জোট গড়ার মাধ্যমে বাজিমাত করেছিল বিজেপি
এর আগে বড়োল্যান্ডের নির্বাচনে বিপিএফ-এর সঙ্গ না পেলেও নতুন জোট গড়ার মাধ্যমে বাজিমাত করেছিল বিজেপি। নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠনের মাধ্যমে বোড়োল্যান্ডে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবেরালের সঙ্গে কাউন্সিল গঠন করে বিজেপি। তাছাড়াও গেরুয়া শিবির গণ সুরক্ষা পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করছে জোট গড়ার লক্ষ্যে।