জোটে জট অব্যাহত
এদিনও সাংবাদিক সম্মেলন করে কার্যত জোটের জট কাটার ইঙ্গিত নিশ্চিত করতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস। আব্বাসদের প্রশ্নে দুই দলেরই মতামত আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঠিক হবে। এদিকে ব্রিগেডের বুকে গতকাল আব্বাস সিদ্দিকির 'ঝোড়ো' ভাষণ ও জোটের মধ্যে শুধুমাত্র বামেদের সমর্থন করে বার্তাকে খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি কংগ্রেস। এরপরই দিল্লি থেকে আনন্দ শর্মার নতুন টুইট ঘটনায় নয়া জল্পনা তুলে ধরেছে।
আইএসএফকে সঙ্গে রাখায় বাংলার কংগ্রেসকে টার্গেট আনন্দের
প্রসঙ্গত, নিজের টুইটে আনন্দ শর্মা লিখেছেন, ' আইএসএফের মতো পার্টিরসঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মূল আদর্শের থেকে বাইরে। গান্ধিবাদ ও নেহরুবাদের ধর্মনিরপেক্ষতা যা পার্টিকে তৈরি করেছে তার থেকে বাইরে।' এই বক্তব্য রেখেই আনন্দ শর্মার দাবি সিডাব্লিইউসির উচিত বিষয়টিতে নজর দেওয়া।
অধীরকেই কি টার্গেট আনন্দের?
এদিন অধীর চৌধুরীর নাম না করলেও, টুইটে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসকে ও তার নেতাকে টার্গেট করেন আনন্দ শর্মা। তিনি লেখেন,' কোনও ধর্ম বা রঙ না দেখেই সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করা উচিত নয়। ', তিনি অধীর চৌধুরীর নাম না করে বার্তা দেন যে ব্রিগেডে আব্বাসদের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি লজ্জাজনক। এর ব্যাখ্যা ওঁকে দিতে হবে।
কংগ্রেসের দিল্লির বার্তা ও আব্বাস ফ্যাক্টর
রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট জটকে কায়েম রেখে আব্বাস সিদ্দিকে যেখানে বলছেন যে কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি জোটে যাবেন কি না তা নিয়ে তিনি স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেখানে অধীর চৌধুরীর সাফ বার্তা কোনও মতেই মালদা, মুর্শিদাবাদের জেতা আসন আইএসএফকে কংগ্রেস ছাড়বে না। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে আইএসএফ বিতর্কে কি কার্যত আনন্দ শর্মার টুইট কংগ্রেস হাইকমান্ডেরই বার্তা? নাকি সাম্প্রতিককালে কংগ্রেসে নবীন বনাম প্রবীণদের যে সংঘাত দেখা যাচ্ছে , এই টুইট তাঁরই অন্য সমীকরণ?
অধীরের বার্তা
এদিকে , অধীর চৌধুরী এক সংবাদমাধ্য়মকে এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আনন্দ শর্মা সম্ভবত পরিস্থিতিটা জানেন না। কাউকে খুশি করার জন্য উনি এমন কথা বলেছেন।