নয়াদিল্লি : রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরও অকপট রাজ্যসভার বিরোধী দল নেতা গুলাম নবি আজাদ। সম্প্রতি নিজের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তাঁর অবসর ঘোষণার দিন একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার পাল্টা হিসেবে মোদীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন গুলাম নবি আজাদ।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের গুজ্জার সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন মাটির মানুষ। তিনি নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি৷ এখনও নিজেকে চা ওয়ালা বলে অকপট স্বীকার করতে লজ্জিত হন না তিনি। কীভাবে নিজের গ্রাম তথা শিকড়কে মনে রাখতে হয় তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই শেখা উচিত।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা থেকে অবসর নেওয়ার সময় গুলামকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ” আপনাকে অবসর নিতে দেওয়া যায় না। রাজনৈতিক জীবনে আপনার থেকে অনেক পরামর্শ নেওয়ার আছে। আমার দরজা সবসময় আপনার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”
সেদিন প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ সালে গুজরাটে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা থেকে গুলাম আজাদ কীভাবে পর্যটকদের বাঁচিয়েছিলেন সেই কথাও তুলে ধরেছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গুলাম নবি আজাদ আরও বলেন, ” আমি দেখেছি যখন গুজ্জর সম্প্রদায়ের কেউ বিধায়ক হয়ে যান তখন তাঁরা নিজেদেরকে গুজ্জর বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পান। আবার অনেকে এম.পি, এম. এল. এম গ্রাম থেকে উঠে আসলে নিজেদে র পুরোনো পরিচয় প্রকাশ করতে ইতস্তত বোধ করেন।”
তিনি আরও বলেন, ” এই বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনই নিজের অতীত জীবন বা শিকড় সম্পর্কে বলতে দ্বিধা বোধ করেন না। তিনি যে আগে চা ওয়ালা ছিলেন, গ্রামে থাকতেন সেসব অকপট স্বীকার করতে তিনি লজ্জিত হন না। তাঁর সঙ্গে আমার বিরাট রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে তবুও বলব তিনি সত্যিই একজন মাটির মানুষ। তিনি সত্যকে আড়াল করতে কখনই ভয় পান না। সুতরাং প্রত্যেক মানুষেরই উচিত নিজেদের শিকড় নিয়ে গর্ববোধ করা।
আজাদ আরও বলেন, ” সারা বিশ্বে ভ্রমণ করেছি আমি। থেকেছি বহু পাঁচতারা, সাত তারা হোটেলে। কিন্তু নিজের গ্রামের মাটির যে গন্ধ তা আর কোথাও পাওয়া যায় না। গ্রামে ফিরে আসলে যেন মনে হয় শান্তির জায়গায় এলাম। গ্রামের মানুষদের জামা কাপড় ময়লা হতে পারে কিন্তু তার যে সুবাস রয়েছে তা দামী সুগন্ধি মাখলেও বোধহয় পূরণ হবে না। কারণ ওটাই আমাদের আদি বাসস্থান। যার কথা কখনই ভোলা যায় না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.