সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-র ব্যর্থতা কাটিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলা ভালো ফল করবে বলে আশায় ছিল বাংলার ক্রিকেট মহল। সিএবি কর্তারাও। যদিও তা হয়নি। বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের দরজা আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হরিয়ানার কাছে আজ ইডেনে শেষ ম্যাচেও হারায় বাংলাকে ৫টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
সিএবি কর্তারা এবার কড়া পদক্ষেপের পথে। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া কোচ অরুণ লালের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বলেন, বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলা যেভাবে খেলেছে তা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। এত খারাপ পারফরম্যান্স আশা করিনি। এই ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত হবে। খুব শিগগিরই কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করে গভীরে গিয়ে ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত হবে। সাপোর্ট স্টাফদের ভূমিকাও পর্যালোচনা করা হবে। ভিশন ২০২০-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা ভিশন ২০২৫-এর পরিকল্পনা করেছি। গতবার এই প্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, প্রতিভা অন্বেষণ ও প্রতিভা বিকাশেও জোর দেওয়া হবে।
সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, করোনার লকডাউন উঠতেই ক্রিকেটারদের ইন্ডোরে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে কোভিড প্রোটোকল মেনে শিবির আয়োজন থেকে শুরু করে ভিভিএস লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে ভিশন ক্যাম্প, সব করা হয়েছে। তারপর এমন পারফরম্যান্স একেবারেই বরদাস্ত করা যায় না। ক্রিকেটারদের কোনওরকম ঢিলেমি মানা হবে না। সবাইকে অনুশীলনে জোর দিতে বলেছি। কোচ অরুণ লাল বলেন, ক্রিকেটারদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। সামনের মরশুমের কথা ভেবে জোর দেওয়া হবে ফিটনেসের মান নির্ধারণেও।
ছবি- সিএবি মিডিয়া