প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি
অভিযোগ, মারধরের জেরে বৃদ্ধার চোখে-মুখে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এই ঘটনার পর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। স্বপন দাশগুপ্ত টুইটে এই ঘটনার কথা পোস্ট করে সমালোচনা করেন। আজ আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান অগ্নিমিত্রা পাল। এরপর নিমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তিনি।
'১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের উপর অত্যাচার করছেন'
বিজেপি নেত্রী বলেন, 'গত ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের উপর অত্যাচার করছেন। প্রতিদিন তাঁর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। বাংলায় ক্ষমতায় আসার আগে উনি বলেছিলেন, বিরোধীদের জায়গা দেবেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর ওনার বিরোধী শূন্য রাজনীতি করার ইচ্ছা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ১০০ লোক মারা গিয়েছে। বিজেপিকে মেরে বিরোধীশূন্য করতে চাইছেন। এজন্য আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারা হচ্ছে।'
তৃণমূলের পাল্টা দাবি
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে এই ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গতকাল তৃণমূলের টুইটারক হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে আক্রান্তদের আত্মীয় এই ঘটনার কথা বলেছেন। ওই ভিডিওতে আক্রান্তদের আত্মীয়রা দাবি করেছেন, 'তৃণমূলের তরফে কোনওরকম মারধর করা হয়নি। কারণ গোপাল মজুমদারের মা অতিশয় বৃদ্ধা। তার উপর তিনি অসুস্থ। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না।' গোটা ঘটনায় বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে বলে শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
ডেরেকের অভিযোগ
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন টুইটে ঘটনার সমালোচনা করে লেখেন, 'আমরা ইতিবাচক প্রচার করছি। তাই বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকী বয়স্কদের বাদ দিচ্ছে না। মিথ্যা খবর রটাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলা করার মতো ওদের ক্ষমতা নেই।'