পাঁশকুড়াঃ ভোট যত সামনে এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ ততোই চড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। রবিবার রাতে বোমাবাজি, সিপিআইএমের পতাকা ও ফ্লেক্স ছেড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া পশ্চিম এলাকায় রানীয়াড়া এলাকায়।

ব্রিগেড মিটিংয়ের পরেই গভীর রাতে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি ও বামেদের পতাকা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। সিপিআইএমের তরফ থেকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

রবিবারই ব্রিগেডে সমাবেশ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে সিপিআইএম। রাতে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত পাঁশকুড়া পশ্চিম এলাকা। স্থানীয় বাম নেতৃত্বদের দাবি, রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ মোটর বাইকে করে আচমকা কয়েক জন দুষ্কৃতি রানিয়াড়া গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। রাস্তার দুধারে সিপিএমের টাঙ্গানো সমস্ত পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দফায় দফায় বোমাবাজি করে তারা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য এলাকার তুলনায় পাঁশকুড়া এলাকায় সিপিআইএমের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ইব্রাহিম আলি। চলতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সেই পাঁশকুড়া এলাকায়।

স্থানীয় বাম কর্মী বিশ্বজিৎ দিন্ডা বলেন, “রাত্রি প্রায় ১২টা নাগাদ গ্রামের কয়েকদল দুষ্কৃতি ঢুকে সিপিএমের সমস্ত পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়। এছাড়াও ছয় থেকে সাত জন ওই দুষ্কৃতি এলাকায় বোমাবাজি করে। এরপরে আমরা যখন ছুটে আসি তখন দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।” গোটা ঘটনায় শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে পাঁশকুড়া পূর্বের বাম বিধায়ক শেখ ইব্রাহিম আলী বলেন, “আমাদের ধারণা তৃণমূল এই ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপ্তি কুমার জানা বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে বিজেপি ও সিপিআইএমের মধ্যে দ্বন্দ্ব। বোমাবাজি সিপিআইএমের নীতি। আমাদের বোমাবাজি করার কোনও ভাবেই দরকার পড়ে না।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।