অধীরের সাফ কথা
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে নেমে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জন্য দুদিন সময় দিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। যা নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদে জেলা কংগ্রেসের। ন্য জেলা থেকে হলেও, এই দুই জেলা থেকে আব্বাস সিদ্দিকির দলকে কোনও আসন ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যের পরে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোটের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
ব্রিগেডের মঞ্চেই স্নায়ুযুদ্ধ
অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আব্বাসের স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল আগে থেকেই। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতেই অধীর চৌধুরী গিয়েছিলেন আলিমুদ্দিনে। তাঁর দাবি ৯২ থেকে কংগ্রেসের আসন বাড়িয়ে ১১০ করা হলে, তারা আব্বাস সিদ্দিকিকে আসন দিতে পারবেন। রবিবার অধীর চৌধুরী যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, সেই সময় মঞ্চে আসেন আব্বাস সিদ্দিকি। বামেদের সবাই আব্বাসকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে যান। আব্বাস এগিয়ে আসলে, সেলিম তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীকে বলেন। কিন্তু সেই সময় অধীর চৌধুরী বলেন, তিনি আর ভাষণ দেবেন না। এরপর বিমান বসু অধীর চৌধুরীকে শান্ত করেন। এরপর অধীর চৌধুরীর ভাষণ হয়ে গেলে বলতে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি শুরুতেই বলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীরা রক্ত দিয়ে হলেও, বাম শরিকদের জন্য লড়াই করবে। কেননা বামেরা তাদেরকে ৩০ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস তা করেনি। তবে কংগ্রেসের জন্য বন্ধুত্বের জায়গা খোলা রয়েছে।
বিব্রত বাম শিবির
তবে জোট ঘোষণার পরেও অধীর-আব্বাসের জটের পরিস্থিতিতে বিব্রত বাম শিবির। একদিকে যখন ভাইজান ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বলছেন, তারা অংশীদারির রাজনীতি করতে এসেছেন, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অধীর চৌধুরীও জানিয়ে দিয়েছন, আব্বাসের দলকে মালদহ-মুর্শিদাবাদে তিনি অংশীদারী মানতে নারাজ। যা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে বামেরাও।
এখনও বামেদের সঙ্গে সমঝোতা বাকি আছে
অধীর চৌধুরী আরও বলেছেন, এখনও বামেদের সঙ্গে তাদের আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়নি। দু-পক্ষের আসনরফা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে অন্যদের কথা ভাববেন তিনি। আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যার কথা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। জোটের শর্ত সবাইকেই মেনে চলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিন ফের জোট নিয়েই বৈঠক হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।