টুইটের পর চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোর কিছুদিন আগেই ফলাও করে বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপি দুই অঙ্কেই আটকে যাবে। তারপর ভোট ঘোষণা হতেই সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলার নিজের মেয়েই ফের ক্ষমতায় ফিরছেন। মিলিয়ে নেবেন কথাটা। আর তা না হলে তিনি রাজনৈতিক প্রচার কৌশলীর কাজ ছেড়ে দেবেন।
প্রশান্ত কিশোরের পরবর্তী কাজের বায়না সারা
এখন তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় নির্বাচনে জিতবে কি জিতবে না ঠিক নেই। এখন থেকেই প্রশান্ত কিশোর পরবর্তী কাজের বায়না সেরে ফেললেন। তাহলে এর মানে দুটো হতে চায়। এক, পিকে হারলেও অর্থাৎ বাংলায় তৃণমূল হারলেও পঞ্জাবে অমরিন্দরের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। ফলে কথার দাম থাকছে না। আর দুই, পিকে কনফিডেন্ট যে তৃণমূল জিতবেই। ফলে নতুন বায়না ধরে ফেললেন আগে থেকেই।
টুইটের কথা মনে রাখবেন, ২ মে-র চ্যালেঞ্জ
বাংলায় ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। তৃণমূল বনাম বিজেপি এখন প্রার্থী বাছাইয়ে মগ্ন। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও স্ব-কণ্ঠে দাবি করেছেন, আগামী ২ মে তাঁর টুইটের কথা মনে রাখবেন। সেটাই হতে চলেছে। অর্থাৎ বাংলা তাঁর নিজের মেয়েকেই চায়। নিজের মেয়েকেই ক্ষমতায় আনবে আবারও। আর তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন পঞ্জাবের সঙ্গে কাজ করার।
প্রশান্ত কিশোরের দাবির পরই তোলপাড় শুরু
বিজেপি দুই অঙ্কেই আটকে যাবে- প্রশান্ত কিশোর এই দাবি করার পর তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রশান্ত কিশোর ফলাও করে দাবি করেছিলেন, বিজেপি ১০০ আসন পাবে না। এরপর তার সমর্থনে তিনি যুক্তিও দিয়েছিলেন। সেই হিসেবই আবার মনে করিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পরই।
প্রশান্ত কিশোরের দাবির সমর্থনে যুক্তি
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কী করে তিনি এত জোরের সঙ্গে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী ফলাতে চাইছেন? প্রশান্ত কিশোর তাঁর দাবির সমর্থনে যুক্তি দিয়েছিলেন, আসন্ন ভোট-যুদ্ধে তৃণমূল শুরু করবে ৩০ শতাংশের অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে থেকে, আর বিজেপি শুরু করবে শূন্য থেকে। এটা একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটকেই টার্গেট করেছে বিজেপি। মনে রাখতে হবে বাংলা কিন্তু সম্প্রীতির পীঠস্থান।
বিজেপি মাত হবেই, ওভার কনফিডেন্ট প্রশান্ত
প্রশান্ত কিশোর বিজেপিকে হারাতে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। আর অঙ্ক কষেই তিনি এগোচ্ছেন বিজেপিকে মাত দিতে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে মানুষের মত নেওয়ার ঠিক আগে তিনি এমনই এক সিদ্ধান্ত নিলেন, তাতে স্পষ্ট তিনি তৃণমূলের জয়ের ব্যাপারে ওভার কনফিডেন্ট। তাই আগাম পরবর্তী কাজের বায়না নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
তৃণমূলের হয়ে বাংলা-জয়ের পর নয়া লক্ষ্য পিকের
তাঁর এমনই ভাব, তৃণমূলের হয়ে বাংলা-জয়ের পর এবার তাঁর লক্ষ্য হবে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে সঠিক দিশা দেখান। এর আগে অমরিন্দর সিংয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে তাঁকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাফল্যের চূড়ায় বসানোর পর তিনি ফের অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারের ভার নেবেন।