লখনউ: ফের শিরোনামে যোগী রাজ্য। আত্মীয়-পরিজনের অভিযোগের ভিত্তিতে চিতা থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল উত্তর প্রদেশের পুলিশ। এঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুর জেলার কুতবাশের এলাকায় একটি গ্রামে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তা পোস্টমর্টেমের (ময়নাতদন্ত) জন্য পাঠিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন – যেন হ্যালোউইন, কালো-কমলা রংয়ের নয়া প্রজাতির বাদুড়ের সন্ধান
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার বাড়ি কুতবাশ এলাকারই এক গ্রামে। প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। মৃতার বাপের বাড়ির পরিবারের তরফে অভিযোগ, তাঁদের কোনও খবর না দিয়েই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গোপনে মহিলার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যায়। লোকমুখে খবর পেয়ে তত্ক্ষণাৎ কুতুবাশের থানায় অভিযোগ দায়ের করে বাপের বাড়ির আত্মীয় পরিজনেরা।
মৃতার বাপের বাড়ির তরফে হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কুতবাশের পুলিশ জ্বলন্ত চিতা থেকে মহিলার মৃতদেহের অবশেষ উদ্ধার করে। শেষ খবরে জানা গিয়েছে, মহিলার দেহাবশেষ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও খবর পড়ুন – রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তিনি মমতার পাশেই, জানালেন তেজস্বী
মৃতার বাবা শিষারাম জানান, ১৫ বছর আগে তিনি তাঁর ৩৫ বছরের মেয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে সাবদলপুরের বাসিন্দা ধুম সিংয়ের বিয়ে দেন। এরপর থেকেই সংসারে অশান্তি চলত। তাঁর মেয়েকে প্রায়ই মারধর করা হত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সোমবার সকালে তাঁরা খবর পায়, বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে লক্ষ্মীকে। কিন্তু তাঁরা যখন সদলবলে ওই গ্রামে যায়, দেখা যায় শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর দেহ। এরপরেই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।
থানার ইনচার্জ বিনোদ কুমার সিং জানিয়েছেন, পুলিশ শশ্মান থেকে মৃতদেহের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে। মোট ৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এদেরকে আদালতে হাজির করা হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.