'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুরলীধর শর্মা দু'জনে ষড়যন্ত্র করেছেন'
বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় তাঁকে আলিপুর জজ আদালতে পেশ করা হয়। আগের দিনের মতো আদালত চত্বরে নিরাপত্তা আঁটোসাটো ছিল। আদালত চত্বরে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন ধৃত বিজেপি নেতা। বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুরলীধর শর্মা দু'জনে ষড়যন্ত্র করেছেন। সব সত্যি সামনে আসবে। আমার বাড়িতে যারা কাজ করত তাদের ধরে গল্প তৈরি করা হচ্ছে।'
পামেলা গোস্বামী পুলিশি জেরায় রাকেশ সিংয়ের নাম করেছিলেন
মাদক মামলায় গ্রেফতারির পর পামেলা গোস্বামী পুলিশি জেরায় রাকেশ সিংয়ের নাম করেছিলেন। সেই সূত্রে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাকেশ সিংকে পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ
এদিকে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ উঠেছে৷ সোমবার আলিপুর আদালতে এই অভিযোগ করেন রাকেশ সিংয়ের আইনজীবী ফ্রান্সিস সামসুর৷ তাঁর দাবি, পুলিশের অত্য়াচারে অজ্ঞান হয়ে যান রাকেশ৷ আদালতে সেই সংক্রান্ত ডাক্তারি নথিও পেশ করেছেন তাঁরা৷
'কোকেন পাচারের সঙ্গে কোনও যোগ নেই রাকেশের'
রাকেশের আইনজীবীর দাবি, কোকেন পাচারের সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর মক্কেলের৷ তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে৷ রাকেশের মুখ থেকে জোর করে দোষ কবুল করাতে তাঁকে মারধর করা হচ্ছে৷ এমনকি মারের চোটে তিনি জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন বলে দাবি ফ্রান্সিসের৷ ঘটনা প্রমাণ করতে রাকেশের শারীরিক পরীক্ষা করান তাঁর আইনজীবী৷ পরে সেই নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়৷ একইসঙ্গে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করেছেন তিনি৷ দাবি তুলেছেন কড়া পদক্ষেপের৷
পামেলার সূত্র ধরেই পুবিশের জালে রাকেশ
প্রসঙ্গত, কোকেন পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি পুলিশের জালে ধরা পড়েন বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী৷ তাঁকে জেরা করেই রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়৷ রাকেশের বিরুদ্ধে কোকেন পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে৷ যদিও রাকেশের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ৷ তবুও তাঁকে আটকে রাখা হচ্ছে৷