শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : বাম (Left), কংগ্রেস (Congress), ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ এক ধাক্কায় সিপিএমকে (CPM) রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তুললো। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ শেষেই তৃণমূল, বিজেপি-র তরফে সিপিএম-এর সমালোচনা করা শুরু হয়েছে। তবে সিপিএম বলছে, তাদের ব্রিগেড সমাবেশের ভিড় দেখে ভয়ে বিজেপি ও তৃণমূল আবোলতাবোল বলছে। আসলে এই দুটো দল বুঝে গেছে, এবার বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সিপিএম নেতা রবীন দেব (Robin Deb) এই প্রসঙ্গে সোমবার বলেছেন, “আমাদের ব্রিগেড সমাবেশ দেখে তৃণমূল ও বিজেপি এক কথায় ভয় পেয়েছে। মানুষ ভয় পেলে যা হয় ঠিক সেভাবেই এই দু’টো দল এখন আবোলতাবোল কথা বলছে। এই মহতী সমাবেশ দেখে বিজেপি (BJP), তৃণমূল (TMC) এখন দিশেহারা। ওরা বুঝে গেছে যারা এতদিন ওদের খাইয়ে পরিয়ে রেখেছিলো, তারা এখন ওদের বিরুদ্ধে চলে গেছে।” রবীন দেব তাঁর এই কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে গেছে।

তবে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Singha) এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “সিপিএম-এর ব্রিগেড সমাবেশে যে ভিড় হয়েছে সেই লোক সরবরাহ করেছে তৃণমূল। কেননা আমি নিজে দেখেছি কলকাতার ঢাকুরিয়া, রাসবিহারী প্রভৃতি জায়গায় বিমান বসু (Biman Basu), সূর্য্যকান্ত মিশ্রর (Surjyakanta Mishra) স্ট্রিট কর্নারে ১০/১২ জন লোকের জমায়েত হয়। সেখানে ব্রিগেড ওরা এতো মানুষ ওরা পেলো কোথা থেকে? এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে লোক সাপ্লাই দিয়েছে। তৃণমূলের পূর্ণ সমর্থনে এই ব্রিগেড সমাবেশে এই ভিড় হয়েছে। গত ১০ বছরে সিপিএম একটা বড় সভা করতে পারলো না তারা কোন জাদুবলে এতো লোক পেলো?”

এদিকে একদিকে সিপিএম অন্যদিকে বিজেপিকে এই ইস্যুতে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় (Aroop Ray)। তিনি বলেছেন, “রাহুল সিনহার এই কথার কোনও গুরুত্ত্ব আমার কাছে নেই। তৃণমূল কর্মীরা দলের প্রতি নিবেদিত। তারা অন্য দলের সভায় যায় না। সিপিএম, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর ডাকে ব্রিগেডে যে ভিড় হয়েছে সেখানে আমরা লোক পাঠাতে যাবো কেন? ওরা বিভিন্ন জেলা থেকে এমনকি ভিনরাজ্যে থেকে লোক এনেছে। তার ফলেই ব্রিগেডে ভিড় হয়েছে। অর্ধেক মাঠ ফাঁকা ছিল। ওদের মিটিঙে এক লাখের মতো লোক ছিল। আমরা ব্রিগেড করলে ১০/১২ লক্ষ লোক হয়। আমাদের কোনও দায় পড়েনি বাম, কংগ্রেসের ব্রিগেডে লোক পাঠানোর।”

তবে যাই হোক, বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের ব্রিগেডে লোক পাঠানোর ফলে সিপিএম যে আবার রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার জায়গায় চলে এসেছে তাতে সন্দেহ নেই। নির্বাচনের আগে সিপিএম-এর ফলে লাভই হয়েছে। তাই রবীন দেব বলেছেন, “যাদের দূরবীন দিয়ে দেখা যেত না তাদের নিয়ে তাহলে এখন তৃণমূল আর বিজেপির চিন্তায় পড়তে হচ্ছে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।