এডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ
এই আবহে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত অমিত শাহ আলোচনা করলেন এআইএডিএমকে-র ই পালানিস্বামী এবং ও পনিরসেলভামের সঙ্গে। এর আগে অবশ্য বিজেপির হয়ে কাড়াইকাল এবং ভিল্লুপুরমে প্রচার সভা মেটান অমিত শাহ। পাশাপাশি তামিলবাড়ুর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। এর জেরে এডিএমকে নেতাদের অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি
সূত্রের খবর, এই আসন ভাগাভাগির দর কষাকষিতে বিজেপির উপর বেশ চাপ তৈরি করেই এগিয়েছে এডিএমকে। প্রথমে নাকি পালানিস্বামী, পনিরসেলভামরা অমিত শাহদের মাত্র ২১টি আসন দিতে চেয়ে বার্তা দেন। ইতিমধ্যেই পিএমকে-কে ২৩টি আসন ছেড়ে দিয়েছে এডিএমকে। এছাড়া ডিএমডিকে নামক আরও এখটি আঞ্চলিক দলকেও বেশ কয়েকটি আসন ছাড়তে হবে এডিএমকে-কে।
তামিলনাড়ুতে কোন পথ বেছে নেবে বিজেপি
এদিকে তামিলনাড়ুতে হয়ত বিজেপি কম আসনে সন্তুষ্ট হয়েও যেতে পারে। কারণ তামিলনাড়ুতে এনডিএ জোটের জয়ের পথ খুব কঠিন। সেই ক্ষেত্রে বিজেপির নজর পুদুচেরির উপর। সেখানে এডিএমকে এবং এআইআরসি-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাই তামিলনাড়ুতে হয়ত নমনীয় হতে পারে বিজেপি।
শশীকলা ফ্যাক্টর
এর আগে ২০১৬ সালে একা লড়েই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছিল এআইএডিএমকে। তবে সেবারে দলকে একা হাতে জিতিয়েছিলেন 'আম্মা' জে জয়ললিতা। তবে জয়ললিতার প্রয়াণের পরই দলের অন্দরে পরিস্থিতি বদলে যায়। দলের অন্দরে ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হয় দুই পনিরসেলভাম এবং পালানিস্বামীর মধ্যে। পড়ে বিজেপির মধ্যস্থতাতেই কতকটা সমস্যা মেটে। তবে টালমাটাল পরিস্থিতি এখনও বজায় রয়েছে দলের অন্দরে। নেপথ্যে শশীকলা নটরাজনের ফেরত আসা।