কলকাতা : রবিবারের বামেদের ডাকা ব্রিগেড (Brigade) বুঝিয়ে দিলো বাংলায় ভোটের বাদ্যি বেজেছে। বসন্তের হালকা উত্তাপ এদিনের ব্রিগেডকে গ্রীষ্মের উত্তাপে পৌঁছে দিয়েছিল। আর এই উত্তাপকেই আরও বাড়িয়ে ব্রিগেডের সংযুক্ত মোর্চার মঞ্চ থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। তিনি স্লোগান তুললেন, “লুঠপাটের নয়, জাতপাতেরও নয়। বাংলায় চাই জনহিতের সরকার।” সভামঞ্চ থেকে বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাঁত নিয়েও সরব হলেন সীতারাম ইয়েচুরি।

সীতারাম ইয়েচুরি এদিন বলেন, “এদিনের ব্রিগেড ঐতিহাসিক এই জন্যই এই ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষের কাছে তৃণমূল বা বিজেপি বিকল্প নয়। কারণ একদল দুর্নীতিতে এবং আর একদল লুঠে বিশ্বাসী। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই এবার রাজ্যে তৈরী হবে জনহিতের সরকার।

সীতারাম ইয়েচুরি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘুদের অনুদান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন । তিনি বলেন, “সম্প্রতি এ রাজ্যের তৃণমূল (Trinamul) সরকার মোটা অংকের অনুদান দিয়েছে। ভোটের আগেই কেন এই অনুদান দেওয়া হল? আর উন্নয়নের জন্য অনুদান জাতপাত দেখে নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া সমস্ত মানুষের জন্য দেওয়া উচিৎ।”

এর পরই তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, “এ রাজ্যের সরকারের মনে রাখা উচিৎ সকলকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।” এদিন সীতারাম ইয়েচুরি ধর্মের রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে কলিযুগের অবতারের কথাও উল্লেখ করেন। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “কলিযুগে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে নিজেদেরকে উল্লেখ করেন যাঁরা, তাঁরা আসলে মানুষের অধিকার হরণ করছেন। তাঁদের হারাতেই হবে।।”

এদিনের ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে নয়া সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও (Surjya Kanta Mishra)। তৃণমূলের “দিদিকে বলো”, “পাড়ায় সমাধান” প্রকল্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সবাই বলল কিছু হল না। তারপর পাড়ায় সমাধান। এমন সমাধান করেছেন যে বাকি দলটা বিজেপি হয়ে গেল। উনি একাই বাকি রইলেন । আমরা এমন সরকার চাই, যে সরকার আপনারা ঠিক করবেন। আমরা চাই না, একা একা কেউ ঠিক করুক রাজ্য কীভাবে চলবে।”

এদিকে ব্রিগেড থেকে তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন সিপিএম (CPM) নেতা মহম্মদ সেলিম (MD. Selim)। তিনি বলেন, “ব্রিগেডের জৌলুস খাটো করতে এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফের নাটক শুরু করবেন।” ব্রিগেডের সভা থেকে সেলিমের ঘোষণা, “সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে চিটফান্ডের সম্পত্তি বেচে আমজনতার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএর (CPI)-র ডি রাজা, স্বপন ব্যানার্জী, আরএসপি (RSP)-র মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড (FB) ব্লকের নরেন চ্যাটার্জী, ভুপেশ বাঘেল সহ অন্য নেতারা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।