শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ব্রিগেডের সমাবেশে (Brigade Meeting) মানুষকে আসতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী বা ভাইজান। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের জবাব মানুষ গণতান্ত্রিকভাবেই দেবেন।”

আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন, কোনওভাবেই মানুষের ওপর অত্যাচারের রাজনীতি তারা সহ্য করবে না। বাংলাকে রক্ষা করে রাজ্যের মানুষকে সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বাম, কংগ্রেস-এর সঙ্গে জোটে গেছেন। এই জোটের লক্ষ্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে মানুষের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

এদিন আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ কোনও দলের নয়। বাংলা বাঁচানোর সমাবেশ।” তিনি বলেন, “ডানকুনিতে মিছিলে আসা গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন পরে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে বলবো এসব না করতে। বাংলার মানুষ বাংলার গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ছুটে আসছেন। বেকার যুবক, যুবতীরা চকরির জন্য ছুটে আসছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষ তাদের অধিকার রক্ষার জন্য ছুটে আসছেন ব্রিগেডের দিকে। এটা অধিকার রক্ষার ব্রিগেড। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, এই মিছিলকে সঠিক ভাবে ব্রিগেড সমাবেশে আসতে দিন।”

এদিন আব্বাস সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, “দুর্গাপুরে তৃণমূল (Trinamul) কর্মীরা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে। তৃণমূল পার্টি মানুষের সঙ্গে এখনও দুর্ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তৃণমূলের এই আক্রমণের জবাব গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের মাধ্যমে দেব।”

আব্বাসের কর্মীরা এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের বহু মানুষ আসেন। আব্বাস সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ভাইজান রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ডাক দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ব্রিগেড আসতে বাধা দেবে। কিন্তু তোমাদের আসতে হবে। সবাই আমার কথা শুনেছেন। তারা এসেছেন। সেই মানুষই মমতার এই অত্যাচারের জবাব দেবেন।” এই মানুষের ভিড় কতটা ভোটার বাক্সে নিয়ে যেতে পারবে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোট সেটাই বড় লড়াই, তবে এই লড়াইয়ে যেটাই জোটের আসল লক্ষ্য, সেটা আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।