পানাজি: এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এফসি এবং নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। কিন্তু চতুর্থ দল হিসেবে আইএসএলের প্লে-অফ বা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে কোন দল। সুপার সানডে’র প্রথম ম্যাচে এদিন সেদিকেই চোখ ছিল অনুরাগীদের। ফতোরদা স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। সেই ম্যাচে নিজামদের রুখে দিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে আইএসএলের প্লে-অফে পৌঁছে গেল জুয়ান ফেরান্দোর এফসি গোয়া। অন্যদিকে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স করেও তীরে এসে তরি ডুবল হায়দরাবাদের।
১৯ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা এগিয়ে থেকেই এদিন লিগের শেষ ম্যাচে নেমেছিল গৌররা। ড্র করলেই চলত তাদের। অন্যদিকে দু’পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া কোনও গতি ছিল না নিজামদের। শেষ অবধি যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু অর্থাৎ, ম্যাচ ড্র রেখেই সেমিফাইনাল যাত্রা নিশ্চিত করল গতবারের লিগ শিল্ড উইনার গোয়া। গোলশুন্য ড্র করে ২০ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার পাকা করল তারা।
এরইসঙ্গে ষষ্ঠবারের জন্য টুর্নামেন্টের প্লে-অফ নিশ্চিত করে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই উন্নত করে নিল গোয়া। তবে কাজটা যে খুব সহজ ছিল যে তা নয়। কারণ গত মরশুমে লিগ শিল্ড উইনার গোয়া দলের কোর গ্রুপকে নিয়ে চলতি মরশুমের আগে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন কোচ সার্জিও লোবেরা। তাই হাতে গোনা কয়েকটা চেনা মুখকে নিয়ে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। একটা ভাঙা দলকে নিয়ে তাই প্লে-অফে পৌঁছনোর কারণে কুর্নিশ জানাতেই হয় ফেরান্দোকে।
কুর্নিশ প্রাপ্য হায়দরাবাদ এফসি কোচ ম্যানুয়েল মার্কুয়েজ রোকারও। গত মরশুমে লিগে একেবারে তলানিতে শেষ করা দলটার দায়িত্ব নিয়ে খোলনলচে বদলে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। আলবার্তো রোকা মরশুম শুরুর আগে বার্সেলোনার ডাকে সাড়া দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। পরিবর্ত হিসেবে নিজামদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন আরেক রোকা। স্ট্রাইকার আরিদেন সান্তানা ছাড়া বিদেশিদের মধ্যে সেই অর্থে উচ্চমানের ছিলেন না কেউই। কিন্তু তফাত গড়ে দেয় রোকার হাতে তৈরি ভারতীয় ব্রিগেড।
চলতি আইএসএলে পারফরম্যান্সের নিরিখে যদি সবচেয়ে বেশি অবাক করে থাকে কোনও দল তাহলে সেটা অবশ্যই হায়দরাবাদ। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার তৃতীয় দল হিসেবে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। রেকর্ডবুকে নাম তোলা খালিদ জামিল দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বে হাইল্যান্ডারদের পারফরম্যান্সও চলতি আইএসএলের অন্যতম পাওনা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.