২০০১-এর পুনরাবৃত্তি ২০২১-এ
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০০১-এর পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা ২০২১-এ জোরদার। সেবারও সিপিএম বিরোধী হাওয়া উঠেছিল। তৃণমূল বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাম জমানার অবসান ঘটাতে। কিন্তু সফল হয়নি তৃণমূল-কংগ্রেসের জোট। ফের বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফিরেচিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকার।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল ক্ষমতায়
তারপর ২০১১-য় ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল কংগ্রেস বাম জমানার ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে পরিবর্তনের সরকার গড়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে ১০ বছর। মাঝে ২০১৬ সালেও বাম-কংগ্রেস জোটকে উড়িয়ে তৃণমূল বিপুল ক্ষমতা লাভ করেছিল। এবার ২০২১-এ তাঁদের নয়া প্রতিপক্ষ বিজেপি!
বিজেপি হাওয়া তুলেছে এবার তৃণমূলকে হারানোর
বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভায় ১৮ আসনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। লোকসভায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তাই ২০২১-কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তারা। বিজেপি হাওয়া তুলেছে এবার তৃণমূলকে হারিয়ে প্রকৃত পরিবর্তন আনার। তৃণমূলকে ভেঙে ক্ষমতা খর্ব করেই তারা পসার লাভ করতে চাইছে।
বিজেপির অবস্থা ২০০১-এর তৃণমূলের মতো হবে
কিন্তু এভাবে কি তৃণমূলকে হারানো সম্ভব হবে বিজেপির পক্ষে। বিজেপি সেয়ানে সেয়ানে লড়ার মতো জায়গায়ও এলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এবার বিজেপির অবস্থা ২০০১-এর তৃণমূলের মতো হবে। তৃণমূল যেমন সেবার হাওয়া তুলেও সিপিএমকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি, এবার বিজেপিও পারবে না তৃণমূলকে হারাতে।
২০০১-এর স্বপ্নপূরণ ২০১১-য়
২০০১-এর নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমস্ত সম্ভাবনা নস্যাৎ করে বামফ্রন্ট জিতেছিল ১৯৬টি আসনে। আর তৃণমূলকে ৬০ এবং কংগ্রেসকে ২৬ আসন নিয়েই সস্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তাঁদের সিপিএমকে হারানোর স্বপ্ন সফল হয় আরও ১০ বছর পর ২০১১ সালে। বিপুল সংখ্যাক আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল ও কংগ্রেস। তারা ২২৮টি আসন দখল করে। তৃণমূল পায় ১৮৪টি, কংগ্রেস ৪২টি। এসএউসিআই ও নির্দল একটি করে আসন পায়।