প্রতীতি ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা : “উড়ছে আবির দেখবি আয়, বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেই ছড়া কেটে শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের দেওয়াল লিখন ।
হাতে আর বেশি সময় নেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তাই দেরি না করেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মাঠে নেমে পড়েছেন। মাসখানেক আগে থেকেই দেওয়ালে চুনকাম পড়তে শুরু করেছিল। তবে দেওয়াল লেখায় নিজেদের কাজকে এগিয়ে রাখতে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের প্রচণ্ড রোদেও দেখা গেল দেওয়াল আঁকতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ছড়া কেটে দেওয়াল লিখনের কাজ করতে।
প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা হয়নি তাই প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে বিধানসভা উপলক্ষে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক চিহ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ছড়া কেটে কেটে চলছে দেওয়াল লিখন। কোথাও দেওয়ালে লেখা হয়েছে খেলা হবে দিয়ে স্লোগান , আবার কোথাও বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।
দেওয়ালে কোথাও লেখা ‘উড়ছে আবির দেখবি আয় ,বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।আবার দেখা গিয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের উল্লেখ।সব মিলিয়ে হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, এবারের বিধানসভা ভোটে হাবড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী এক লক্ষ ভোটে জিতবে।
আরো পোস্ট- এদের আটক করে হাড় বের করে বানানো হতো রাস্তা!
অন্যদিকে শুক্রবার ভোট ঘোষণার পর শনিবার থেকে বাংলা জুড়ে জারি হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। এই পরিস্থিতিতেই টুইটে ফের চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। শনিবার টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের আসল লড়াই হবে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলার মানুষের বার্তা স্পষ্ট। তাঁদের হাতেই রয়েছে তুরুপের তাস৷ আর তা হল- ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।
তিনি লিখেছেন, ২রা মে (নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন) আমার আগের টুইটটি-র কথা মনে রাখবেন।’ বলে রাখি, প্রশান্ত কিশোর শেষ টুইট করেন ২১ ডিসেম্বর। সেখানেই আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে টুইটারে বড়সড় পূর্বাভাস করেন প্রশান্ত কিশোর। এমনকী সেটি না মিললে টুইটার ছেড়ে দেবেন বলে দাবিও করেছেন তিনি।
এর আগে আইপ্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের দাবি করেছিলেন, বিজেপি দুই অক্ষরের গণ্ডি পেরোবে না। অর্থাৎ তিনি মনে করেন, ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ১০০টি আসনও পাবে না। লোকজনকে এই টুইটটি যত্ন করে সংগ্রহ করে রাখার চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.