নালন্দা: প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ছাপ নানা মন্দির, স্তুপ বা গুহার গায়ে রয়েছে। কিন্তু এমনটা কি জানেন যে গুপ্তধনের চাবিকাঠিও রয়েছে গুহাতেই? এমন এক গুহা বিহারের রাজগিরে ভইভার পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। গুহার নাম সোন ভাণ্ডার। রাজগীর এক সময়ের সুবর্ণ অতীতের কথা বলে যে সময়ে শাসন চালাতেন ঐতিহাসিক সম্রাট অশোক। মৌর্য বংশের রাজা বিম্বিসারের বিশ্রামস্থল ছিলো এই বিশেষ গুহা। নিজের ছেলের হাত থেকে তার বিশাল সম্পদ লুকিয়ে রাখতেই এই কৌশল তার। তাই দুই হাজার বছর পরেও সেই রহস্য আজও উদ্ধার করতে পারেননি কোনো ঐতিহাসিক বা বিজ্ঞানী। বিম্বিসারের ছেলেই নাকি তাকে বন্দি করেন। সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে বৈভর পর্বতের পাদদেশে দুটো গুহা তৈরি করেছিলেন ভৈরদেব নামে এক জৈন সন্ন্যাসী, এমনটাই সেখানকার লোকমুখে প্রচারিত।
গুহাগুলোর সঙ্গে যে বৌদ্ধধর্মের নিবিড় যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পাহাড়ের গায়ের সেই গুহার দেয়ালে রয়েছে দরজার মতো এক কাঠামো। ঠিক তার পাশেই এক অজানা ভাষায় লেখা রয়েছে কিছু কথা। এই বচন উদ্ধার করতে পারলেই আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন সোনা, মণিমাণিক বোঝাই সিন্দুক ও বিম্বিসারের লুকিয়ে রাখা গুপ্তধন পাবেন আপনি। তবে সত্যিই কি নিজের ধনসম্পত্তি লোকাতে এমন কায়দা করেছিলেন বিম্বিসার? সেটা নিয়েও রয়েছে মতভেদ।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাবা মহাপদুমের হাতে মগধের রাজা হিসাবে অভিষেক হয় বিম্বিসারের। বিম্বিসারের চেয়ে বয়সে প্রায় পাঁচ বছরের ছোট গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তার। বোধিলাভের বেশ কিছু আগেই তরুণ গৌতমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল বিম্বিসারের। তারপর বুদ্ধদেব কথা দিয়েছিলেন বিম্বিসারের সাধনায় সিদ্ধিলাভ হলে তিনি আবার ফিরবেন। শেষে কথা রেখে বোধিলাভের পর গৌতম বুদ্ধ ফিরেছিলেন মগধে। বোধিলাভের পর গৌতমের ভক্ত আর অনুগামীরা যাতে মগধে শান্তিতে বাস করতে পারে তাই ‘বেণুবন’ নামের উদ্যানটি বিম্বিসার উৎসর্গ করেন বুদ্ধদেবকে।
এমন পরম সরল পিতার চরিত্রের একেবারে উল্টো ছিলেন ছেলে অজাতশত্রু। পৃথিবী থেকে বুদ্ধের নাম মুছে দিতে কত নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। দেবদত্তের সঙ্গে মিলে অজাতশত্রু বিম্বিসার ও তার মন্ত্রীদের গৃহবন্দি করে নিজেকে মগধের শাসক হিসেবে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে ছেলের মনোভাব বুঝতে পেরে নিজের মহামূল্য ধনসম্পদ বিম্বিসার লুকিয়ে ফেলেছিলেন এক গোপন দুর্গম এলাকায়। আজীবন খোঁজ চালিইয়েও তা খুঁজে পাননি অজাতশত্রু। ইংরেজ আমলেও তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.