কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের 'শান্তি সম্মেলন'
এদিন কংগ্রেসের গুলাম নবি, কপিল সিব্বল, আনন্দ শর্মারা বলেন, 'সত্যিটা হল আমরা কংগ্রেস দলকে আরও দুর্বল হতেই দেখছি। এই কারণেই আজ আমরা বৈঠকে বসেছি। আমরা এর আগেও একসঙ্গে মিলিত হয়েছি। আমরা দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।' এদিন কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এই নেতারা 'শান্তি সম্মেলন' করেন।
'আমাদের আওয়াজ আসলে কংগ্রেস দলের ভালোর জন্যেই'
এদিন বৈঠকের পর আনন্দ শর্মা বলেন, 'আমাদের আওয়াজ আসলে কংগ্রেস দলের ভালোর জন্যেই। কংগ্রেসের উচিত দেশের সর্বত্র নিজেদের আরও শক্তিশালী করা। আমরা দলের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো দেখেছি। আমরা দলকে আরও শক্তিশালী হতে দেখতে চাই।' তাঁর দাবি, গত কয়ক দশক যাবত কংগ্রেস ক্রমশ দুর্বল হয়েছে।
বিহার নির্বাচনের পর থেকেই বিদ্রোহের আঁচ বাড়ে
গত বছর নভেম্বরে বিহার নির্বাচনের ফল বেরিয়েছিল৷ যেখানে মহাজোটের অন্য়তম শরিক আরজেডি সবচেয়ে বেশি ৭৫টি আসন পেয়েছিল৷ ভালো ফল করে বামপন্থী দলগুলিও৷ সেখানে ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ১৯টি আসনে জেতে কংগ্রেস৷ আর তারপরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে চর্চা। এরপরই সরাসরি দলীয় নেতৃত্বকে নিশানা করে কপিল সিব্বল বলেছিলেন, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্য়মে এমনকী মানুষ যাঁদের কথা শুনতে চায়, সেইসব সক্রিয় নেতাকে কংগ্রেসের উপরের সারিতে তুলে আনা হোক৷ তাঁরাই কংগ্রেসে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ করবেন৷ এরপরই কংগ্রেসে দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে কংগ্রেসের অন্দরে।
বিদ্রোহীদের দল ছাড়ার পরামর্শ দেন অধীর
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে, দলের খারাপ ফল নিয়ে সিব্বাল বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি জেনেও সেগুলিকে সমাধান করার চেষ্টা করছেন না। এরপরই সিব্বলকে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী পাল্টা বলেছিলেন, এই সমস্ত বড় বড় কথা বলার আগে সিব্বালের উচিত ছিল বিহারের নির্বাচনে প্রচার অংশ নেওয়া। পাশাপাশি তিনি বিদ্রোহী নেতাকে দল ছাড়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন।