মোদীর কাঁধ থেকে অসমের 'গামছা' এখন রাহুলের হাতিয়ার! ভোটমুখী রাজ্যে কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক
একটা সময় ছিল যখন অসমের 'গামোসা' বা গামছা জড়িয়ে টিভিতে একাধিক বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গত বছরই কোভিড কালে গামছার জনপ্রিয়তা দেশ জুড়ে তুঙ্গে তোলেন প্রধানমন্ত্রী। গামছা নিয়ে টুইট করে এটিকে অসমের গর্ব বলে অভিহিত করেছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। তবে এবার সেই গামছাই হয়ে উঠেছে কংগ্রেসের হাতিয়ার।

অসমে সিএএ বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী
কয়েকদিন আগেই অসমে গিয়ে সিএএ বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবং তাঁর সেই বিরোধিতা ছিল অভিনব কায়দায়। অসমের ইতিহ্যশালী গামছা জড়িয়ে রাহুল অসমের মন জয় করতে উদ্যত হয়েছিলেন। সেই গামছায় আবার সিএএ লিখে তার উপর ক্রস সাইন ছিল। যেন বিজেপিকে তিনি বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন যে, অসম সিএএ-কে প্রত্যাখ্যান করেছে।

কোন ছকে অসমের মন জয় করতে চাইছে কংগ্রেস?
কংগ্রেসের ভোট কুশলীর মতে অসমে গামছা আর বিজেপির চিহ্ন হিসেবে দেখছে না সাধারণ মানুষ। মোদীর কাঁধ থেকে এই গামছা এখন রাহুল গান্ধীর হাতে চলে এসেছে। এবং এই হাতিয়ারকে ব্যবহার করেই অসমে বিজেপিকে হাাতে চাইছে কংগ্রেস। নির্বাচনের প্রচারে এই গামছার উপর ভর করেই সেরাজ্যের মানুষের মন জয় করতে চাইছে কংগ্রেস।

রাজ্য জুড়ে তারা অন্তত ৫০ লক্ষ সিএএ বিরোধী গামছা সংগ্রহের পরিকল্পনা
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১ লক্ষ গামছা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, গামছাকে কাজে লাগিয়ে ভোট প্রচারে ঝড় তোলা দলের পক্ষে খুব সুপরিকল্পিত একটি ছক। কংগ্রেসের দাবি, নির্বাচনী প্রচার কালে রাজ্য জুড়ে তারা অন্তত ৫০ লক্ষ সিএএ বিরোধী গামছা সংগ্রহ করতে চায়।

কোন দিকে ঝুঁকবে অসমের বাঙালিরা?
অসমের বাঙালি হিন্দুরা সাধারণ ভাবে সিএএ-কে সমর্থন করছেন। এবং সেরাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা বিজেপির একটি বড় 'ভোট ব্যাঙ্ক'। কারণ এনআরসিতে বাদ পড়া বাঙালি হিন্দুদের কাছে এটাই একমাত্র বাঁচার উপায়। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের দাবি যে, প্রচুর বাঙালি হিন্দুরাও নাকি তাদের হাতে সিএএ বিরোধী গামছা দিতে চাইছে। কংগ্রেসের দাবি, এই সিএএ বিরোধী গামছা আদতে মানুষের আবেগের অভিব্যক্তি। তবে এই অভিব্যক্তি ভোট বাক্সে দাগ কাটতে পারবে কি না, তা বলবে সময়ই।