হাওড়া : ‘ঋতুস্রাব’ , এই স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াটি নিয়ে এখনও অনেক মানুষের ছুঁত্‍‌মার্গের শেষ নেই। এখনও বহু মানুষের মধ্যে ঋতুস্রাব সম্পর্কে বিজ্ঞান ভিত্তিক সঠিক ধারণাই তৈরি হয়নি। ভারতে একটা বৃহৎ অংশের মহিলারা কাপড় ব্যবহার করেন। এর জেরে নানা ধরনের রোগের শিকার হন মহিলারা। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের মধ্যে এই সচেতনতার অভাব সবচেয়ে বেশি।

এই সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অপরাজেয়’। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া এবং মহেশপুরের প্রায় ৪০ জন মহিলার হাতে বেশ কিছু স্যানিটারী ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হল। এর পাশাপাশি, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহারিক সুবিধা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন সংগঠনের সদস্যরা। এমনকি ঋতুকালীন সময়ে কী কী শারীরিক যত্ন নেওয়া উচিত সেগুলি আর্ট পেপারে হাতে লেখা পোষ্টারের সাহায্যে সংগঠনটির সদস্যারা বোঝানোর চেষ্টা করেন। সংগঠনটির অন্যতম সদস্যা তৃনাঞ্জলী মন্ডল বলেন,”একজন নারী মা হয়ে ওঠে পিরিয়ডের মাধ্যমেই। তাই পিরিয়ডকে অবহেলা করা মানে ভবিষ্যৎকে বিপদের মুখে ফেলা। তাই এব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। কাপড় নয়, স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে।” এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

এই সময়ে অন্যান্য পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব সেই ধারণাই তৈরি হয়নি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের। এরই পাশাপাশি রয়েছে আর্থিক অসচ্ছলতা। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন মাত্র ১২ শতাংশ মহিলা, বাকিদের ভরসা কাপড়ের মতো অস্বাস্থ্যকর উপায়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামীণ ভারতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের অনেকেই বছরে প্রায় ৫০ দিন স্কুল যেতে পারেনা ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার না করায়, ২৩ শতাংশ মেয়ে ঋতুস্রাব শুরুর পরই স্কুল-ছুট হয়।

এছাড়াও কাপড়ের ব্যবহারের ফলে নানা ধরণের রোগের শিকার হন মহিলারা। এদিকে বাজারে চলতি স্যানিটারি ন্যাপকিন যে বর্জ্য তৈরি করে, তা পরিবেশ বান্ধব নয়। আরও বেশি সংখ্যক মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার শুরু করলে বাড়বে বর্জ্য, পরিবেশবিদদের একাংশ আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন এই নিয়ে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।