আগরতলা: ফের বিস্ফোরক মানিক সরকার। ত্রিপুরার বিরোধী নেতা বলেছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে সব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মিসড কল দিয়ে চাকরির অফার দিয়েছিলেন, তারা এখন লজ্জায় ত্রিপুরা আসতে চান না।

আগরতলায় সিপিআইএমের যুব সংগঠনের জমায়েত থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিকবাবুর ভাষণে রাজ্য সরগরম। তিনি নাম না করে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিজেপি শীর্ষ নেতা রাজনাথ সিং, শীর্ষ প্রচারক সুনীল দেওধরের কটাক্ষ করেন।

গত বিধানসভার প্রচারে রাজ্যে এসে অসমের মন্ত্রী তথা উত্তরপূর্ব ভারতের বিজেপির আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, সরকার বিজেপির হলেই ঘরে ঘরে চাকরি হবে। সরকার পরিবর্তনের তিন বছরে কর্মসংস্থানের নিম্নগতি কেন,এই প্রশ্নে বিরোধী সিপিআইএম ক্রমাগত বিজেপি কে আক্রমণ করে চলেছে।

আগরতলার জনসভায় মানিক সরকার বলেছেন, মিসড কলের কথা ছেড়ে দিন। এগুলো সব অর্বাচীনের কথা, অবিবেচকের কথা, একদম ফালতু বক্তব্য। ইন্টারভিউ ছাড়া মিসড কলে কী করে চাকরি হবে?

প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী কটাক্ষ, যারা মিসড কলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সম্প্রতি মানিক সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমানে জনসভা থেকে বলেছিলেন, বিজেপি জোট সরকারের আমলে ত্রিপুরায় বেকারত্ব প্রবল। তিনি বাংলার জনগণের কাছে আবেদন জানান, বিজেপির বিষ গলায় না নেওয়ার।

মানিক সরকারের ভাষণের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা সহ দেশের সর্বত্র আলোড়ন ছড়ায়। এর মাঝে বেকরত্ব সূচকে ত্রিপুরা দেশে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যদিও শাসক বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে রাজ্য উন্নয়নের শিখরে উঠতে চলেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী সফরে গিয়ে বিপ্লববাবু কে তাড়া করে ত্রিপুরার বেকারত্ব সূচক।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বড়সড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও মানিক সরকারের ভাষণকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন। তবে মানিকবাবু বলেছিলেন, বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।

রবিবার কলকাতায় বামফ্রন্ট কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জোটের বিগ্রেড জনসমাবেশ। এই সমাবেশ থেকেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই শুরু করবে মহাজোট। তার আগে শনিবার আগরতলায় সিপিআইএমের যুব শখার সমাবেশের চেহারা মিনি ব্রিগেড চেহারা নেয় বলে দাবি বাম নেতাদের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।