স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: পটনা থেকে আরও ১০ কোম্পানি আধাসেনা এল রাজ্যে। এদের বসিরহাট, বারাসত, বনগাঁ পাঠানো হবে। বারাসতে তিন, কলকাতায় তিন ও বনগাঁ এবং বসিরহাটে দুই কোম্পানি করে সেনা মোতায়েন হবে৷ জানা যাচ্ছে, আরও আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অসম থেকে আসছে৷ তাদের সুন্দরবন, কালিম্পং এবং দার্জিলিং-য়ে মোতায়েন করা হবে৷ উল্লেখ্য, গত শনিবারই রাজ্যে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল৷

কমিশন সূত্রের খবর, চলতি মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মাসের শেষ হওয়ার আগেই মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী বাংলায় আসবে বলে জানা গিয়েছে। মুলত যে সমস্ত স্পর্শকাতর জায়গা রয়েছে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে রুট মার্চ বাহিনী শুরু করবে বলে খবর। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের সময়ে রাজ্য সরকারই প্রাথমিক হিসেবে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। সাম্প্রতিক কলকাতা সফরের সময়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য যা চেয়েছে, তত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী না-ও মিলতে পারে। প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একই সঙ্গে আরও চারটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ৭৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই সময়ে বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। তবে সব ক’টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সম্ভব হয়নি। এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে বুথ বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি।

এদিকে, নবান্ন সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের হাতে যে বাহিনী রয়েছে, তাতে দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলার কাজ দেখভাল ও অপরাধ দমনের কাজে ব্যবহার করে বাহিনীর সর্বাধিক ৬৫ শতাংশকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। একটি কমিটি থাকবে, যে কমিটি নির্ধারণ করবে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেমনভাবে মোতায়েন করা হবে। তাতে কমিটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এবং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়কারী থাকবেন। তাঁরা নির্বাচনের সুরক্ষা পরিকল্পনাও তৈরি করবেন। রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবেন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। জেলায় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সাধারণ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষকের অনুমোদন লাগবে। সব স্পর্শকাতর বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।