নয়াদিল্লি : বাজল ভোটের ঘণ্টা। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পশ্চিমবঙ্গ, পুদুচেরি, অসম, তামিল নাড়ু ও কেরলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election commission)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ঘোষণা করলেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, করোনা আবহে (Covid situation) ভোট করানোটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিহার নির্বাচনের উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে প্রথম ভোট ছিল বিহারে। তিন দফা বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল করোনা সংক্রমণ। এবারও তাই করোনা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election commission has issued rules)।
জানানো হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারেই রাশ টানা হবে। প্রচার করার ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম জারি করেছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, প্রচারের জন্য কোন মাঠ ফাঁকা রাখা হবে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। এক ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে ভোটদানের সময়, যাতে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যেতে পারে। ভোট দানের লাইনে থাকবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পদ্ধতি।
কমিশন জানিয়েছে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। রোড শোতে একসঙ্গে ৫টি গাড়ির কনভয় থাকতে পারে। সব ভোটকর্মীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে বাধ্যতামূলকভাবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ দুজন। বাড়ি গিয়ে প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে ৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না।
এদিন সুনীল অরোরা বলেন ভোটারদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ করোনা আবহে ভোট করানো (voting in Covid situation) চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। সংক্রমণ এড়াতে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবার। বাংলায় বুথ বেড়েছে ৩১.৬৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৯১৬টি।
এদিকে, বাংলায় ৮ দফায় হবে বিধানসভা ভোট৷ জানাল নির্বাচন কমিশন৷ প্রথম দফায় ৩০ আসনে ভোট হবে। এছাড়াও রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে৷ মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবে, এই দুজনকে বাংলাযর বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করা হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.