আমদাবাদ: স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷ তাঁর স্পিনের জাদুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার টেস্টের সিরিজে ২-১ এগিয়ে গিয়েছে ভারত৷ আমদাবাদে পিঙ্ক বল টেস্টে বৃহস্পতিবারই বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে চারশো উইকেটের গণ্ডি টপকালেন ভারতীয় এই অফ-স্পিনার৷ মোতেরায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জোফরা আর্চারকে আউট করে মাইলস্টোনে পৌঁছন অশ্বিন৷
বৃহস্পতিবার মাইলস্টোনে পৌঁছনো অশ্বিন শুক্রবার তাঁর অজানা কথা শোনালেন দলের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে৷ টেস্ট ক্রিকেটে চারশো উইকেটের মালিক নাকি কোনও দিন টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপানোর কথা ভাবেননি৷ বিসিসিআই টিভি-তে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীধরকে অশ্বিন বলেন, ‘ঘটনাচক্রে আমি ক্রিকেটার হয়েছি৷ আমি ছিলাম ক্রিকেটপ্রেমী, যে ক্রিকেটার হয়েছে৷ এখানেই আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করি৷ কখনও ভাবিনি আমি ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলব৷’
মাত্র ৭৭টি টেস্টে ৪০০ উইকেটের মালিক হয়েছে ভারতীয় অফ-স্পিনার৷ তাঁর থেকে কম টেস্ট খেলে ৪০০ উইকেটের মাইলস্টোন টপকে ছিলেন একমাত্র মুথাইয়া মুরলীধরন৷ কিংবদন্তি এই শ্রীলঙ্কান অফ-স্পিনার মাত্র ৭২টি টেস্টে এই মাইলস্টোন পেরিয়েছিলেন৷ তবে বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে চারশো উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অশ্বিনের দখলে৷ একই সঙ্গে ভারতীয় চতুর্থ বোলার হিসেবে চারশো উইকেটের ল্যান্ডমার্ক ক্রস করেন অশ্বিন৷
তামিল এই অফ-স্পিনারের আগে টেস্ট ক্রিকেটে আরও তিন ভারতীয় চারশো উইকেটের মাইলস্টোন টপকছেন৷ এঁরা হলেন অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেব (৪৩৪) এবং হরভজন সিং (৪১৭)৷ তবে এঁরা সবাই অশ্বিনের থেকে বেশি টেস্ট খেলে এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছিলেন৷ একই সঙ্গে অশ্বিন পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক টপকে যান৷ তাঁর আগে এই মালইস্টোন টপকেছেন কুম্বলে (৯৫৬), হরভজন (৭১১), কপিল (৬৮৭), জাহির খান (৬১০)৷
গত বছর কোভিড-১৯ লকডাউনে অশ্বিন উপলব্ধি করেন, ভারতীয় দলের হয়ে খেলা কতটা ভাগ্যবান৷ তিনি বলেন, ‘যখনই খেলতে নামি, তখন জয় ছাড়া কিছুই ভাবানি৷ কোভিড-১৯ লকডাউনে আমি উপলব্ধি করি, আমি কত ভাগ্যবান যে ভারতীয় দলের হয়ে খেলি৷ আইপিএল খেলার পরও ভাবিনি আমি অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলব৷ সুতরাং আমার মতে, ক্রিকেটকে ভালোবাসার এটাই উপহার৷’ অস্ট্রেলিয়া সফরের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দারুণ ফর্মে রয়েছেন অশ্বিন৷ চিপকে প্রথম দু’টি টেস্টে ১৭টি উইকেট নেওয়ার পর আমদাবাদে পিঙ্ক বল টেস্টে ৯টি ঝুলিতে পুরেছেন ভারতীয় দলের এই অফ-স্পিনার৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.