নয়াদিল্লি: বাংলার-ভোট এবার আট দফায়। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফের অজয় নায়েক। কে এই অজয় নায়েক? গত লোকসভা নির্বাচনের সময়েও বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে অজয় নায়েককে পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ২ বছর আগেই বাংলায় এসে রাজ্যকে তুলোধনা করে গিয়েছেন ১৯৮৪ সালের বিহার ক্যাডারের এই আইএএস। এবার ফের তাঁকেই বঙ্গ-ভোটে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল কমিশন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এরাজ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে অজয় নায়েককেই পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এসেই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক শুরু করেছিলেন নায়েক। এরপর তিনি প্রকাশ্যেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিহারের চেয়েও খারাপ বলে সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন নায়েক। প্রাক্তন আমলা অজয় নায়েককেই ফের বাংলার বিধানসভা ভোটে বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ১৯৮৪ সালের বিহার ক্যাডারের আইএএস অজয় নায়েক।
শুক্রবারই বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ৮ দফায় হবে বিধানসভা ভোট৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা শুক্রবার এই ঘোষণা করেছেন। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-১, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-১, পূর্ব মেদিনীপুর-১-এ ভোট গ্রহণ হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে। ভোট গ্রহণ হবে বাঁকুড়া-২, পশ্চিম মেদিনীপুর- ২, পূর্ব মেদিনীপুর- ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ১।
তৃতীয় দফায় ভোট হবে ৬ এপ্রিল। ৩১ টি আসনে হবে। এই দফায় ভোট হাওড়া-২, হুগলি – ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ৩। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ১০ এপ্রিল। ৪৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। এই পর্যায়ে ভোট হবে, উত্তর ২৪ পরগনা-১, নদিয়া- ১, পূর্ব বর্ধমান-১ , দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি৷
এরই পাশাপাশি ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বিধানসভা ভোটের জন্য এরাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে। মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করে বাংলায় পাঠাচ্ছে কমিশন। রাজ্যে ভোটে আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বি মুরলিকুমারকে। এদিকে, বাংলায় আট দফা ভোটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.