মুম্বই: জ্বালানি তেলের দামের ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে যৌথভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন । এক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার সমন্বয় সাধন করে পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর থেকে কর কমিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
সম্প্রতি যেভাবে পেট্রোল ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে। এই অবস্থায় তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সমন্বয় সাধন করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার কারণ এগুলির উপর করের বোঝা চেপে আছে। পাশাপাশি তার বক্তব্য, এভাবে জ্বালানি তেলেরর দাম বাড়লে তাতে শুধুমাত্র অটোমোবাইলের জ্বালানির দাম বাড়ে না, তার পাশাপাশি উৎপাদন পরিবহন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধি হয় এবং গোটা অর্থনীতির উপর রীতিমতো চাপ পড়বে।বম্বে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর ১৮৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভাষণ দিচ্ছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর।
যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্যের আয় সংক্রান্ত চাপ রয়েছে বিশেষত করোনা অতি মহামারীর কারণে বড় অংকের ব্যয় ভার নিতে হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর এই পরিস্থিতি অনুভব করেন বলে জানান। তবে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রে মূল্যস্তরের কতটা চাপ আসছে সেটাও দেখা দরকার বলে মনে হয়েছে তার।
এদিকে ইতিমধ্যে গত দু’মাসে দফায় দফায় দাম বাড়ায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরির কাছাকাছি আর তার পিছন পিছন দৌড়চ্ছে ডিজেল। ওদিকে রান্নার গ্যাস আটশো টাকা ছাড়িয়েছে। এমন ঘটনায় বিরোধীরা মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মানছেন, জনতার উপর থেকে এই বোঝা কমানো দরকার।
এহেন পরিস্থিতিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফলে মুখ রক্ষা করতে উপায় খুঁজছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে পেট্রো পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছিলেন, এবার তারা পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.