খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ভাবে জড়িত সৌদি যুবরাজ, মার্কিন রিপোর্টে চরম চাঞ্চল্য

প্রথম থেকেই সাংবাদিক জামাল খাশোগির খুনের ব্যাপারে আঙুল উঠছিল তাঁর দিকে৷ কিন্তু সৌদি রাজ পরিবার বা যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের তরফ থেকে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছিল৷ তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বিন সলমনের যোগ রয়েছে তা প্রায় নিশ্চিত করেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

২০১৯ সালে জামাল খাশোগির হত্যার বর্ষপূর্তির সময়ে প্রথমবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরবতা ভাঙেন বিন সলমন৷ হত্যার দায় পরোক্ষভাবে নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন সেই সময়৷ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি যেহেতু যুবরাজ তাই এই খুনের দায় তাঁরও৷

মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত রিপোর্টে এদিন বলা হয়, তাঁকে হত্যায় সৌদি আরবের কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইএ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জো বাইডেন সৌদি রাজাকে ফোন করেছিলেন। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বন্ধু রাষ্ট্র। তবে এই ঘটনা তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করেছিল।

২০১৮ সালে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয়েছিল খাশোগির ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ পশ্চিমী দুনিয়ার অভিযোগ ছিল সৌদি রাজপরিবারের কলকাঠিতে ঘটেছে এই কাজ৷ কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সৌদি রাজ পরিবার৷ সরকার বিবৃতি জারি করে দাবি করেছিল এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় রাজ পরিবার৷

সৌদি রাজত্বের সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি৷ 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-র কলামনিস্ট ছিলেন৷ ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তান্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি৷ সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি৷ সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই৷ অবশেষে, আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে ১৯ অক্টোবর স্বীকার করে, খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে৷ হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল৷ কিন্তু কয়েকজনেরই শুনানি হয়৷

More USA News