ধর্ম এবং রাজনৈতিক ভাবাবেগে আঘাত লাগার কারণে তার প্রকোপ বার বার পড়েছে বিভিন্ন দেশের সিনেমা এবং শিল্পে। ধর্ম এবং রাজনীতি এমন এক যা নিয়ে একটু কাটাছেঁড়া করলেই তার রোষ দাবানলের মত ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগে না। ওটিটি প্লাটফর্মের যুগে বহুবার বহু ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাবজেক্ট নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
‘তাণ্ডব’ কাণ্ডে এবার নয়া মোড়।উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, অভিযোগ রয়েছে প্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেরা করলো অ্যামাজন ইন্ডিয়া’-র এক কর্ণধারকে । অভিযোগ ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত। মঙ্গলবার ৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কর্ণধার অপর্ণা পুরোহিতকে। থানা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে যান।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট এই ওয়েবসিরিজে নাকী হিন্দুধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ করা হয়েছে।তা নিয়ে, দেশবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। উত্তর প্রদেশের মহিলাদের সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে এবার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে কিন্তু হিন্দু ধর্ম নিয়ে যোগী সরকার যে কতটা কঠোর হতে পারে তার নিদর্শন আগেও পেয়েছে ভারতবাসী।
সইফ আলি খান, ডিম্পল কাপাডিয়া, মহম্মদ জিশান আয়ুব প্রমুখ অভিনীত ‘তাণ্ডব’-এর বিরুদ্ধে দেশের একাধিক রাজ্যের পুলিশ দফতরে মামলা রুজু করা হয়েছে।বিভিন্ন রাজ্যে এফআইআর দায়ের হয়েছে কলাকুশলীদের নামে । সইফ আলি খান ও মহম্মদ জিশানকে এমনকি হুমকির শিকার হতে হয়। সূত্রের খবর, অপর্ণা পুলিশকে জনিয়েছেন, জানুয়ারিতে সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার পরেই ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। যে দৃশ্যগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল, তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাকে নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন নেটিজেন ও বলিউডের একাংশ। অনেকেই মনে করছেন এরকমভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে সাহসী দেখাবে না কোন পরিচালক ও প্রযোজক। এখন অ্যামাজন এবং তাণ্ডব এর গোটা টিম অপেক্ষারত কবে মিটবে আইনের মারপ্যাঁচ তার দিকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.