শুরুটা হয় ইডেনেই
ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই ক্রিকেট মাঠে আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। খুব পুরনো দূরে সরিয়ে রাখলেও ১৯৮৭-এর বিশ্বকাপ ফাইনাল ক্রিকেট প্রেমীরা ভুলবেন কী করে। লর্ডসের বাইরে প্রথম কলকাতার এই মাঠেই হয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে প্রথম বার অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সাক্ষী থাকা ইডেন উদ্যান আপন গরিমায় ভাস্বর। ২০১৯ সালের ভারতে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল দিন রাতের টেস্ট। স্থান ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। এতকিছুর পর আগের মতো এক লাখি গর্জন না থাকলেও এই মাঠের কিছু যায় আসে কি? উল্টে জনপ্রিয়তার ভাগ বসানোর নিরিখে ইডেনের কছে চিরঋণী থাকা উচিত মোতেরার।
ইডেনে দর্শক ধারণ ক্ষমতা
২০১১ সালের বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইডেন গার্ডেন্সের দর্শক সংখ্যা প্রায় এক লাখ থেকে ৬৮ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবু কিছু ম্যাচে মাঠে সত্তর হাজার দর্শক বসে খেলা দেখেছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। আসন কমলেও বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইডেন।
দ্বিতীয় স্থানে মেলবোর্ন
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই মাঠে একসঙ্গে ১০০,০২৪ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন।
প্রথম স্থানে মোতেরা
একদা আহমেদাবাদের মোতেরায় ৫৫ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারতেন। ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে এই মাঠ। এখন এখানে ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের ৫০ ওভার বিশ্বকাপের ফাইনাল এই মাঠে হবে বলে জানা গিয়েছে।