নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেসরকারিকরণ ঘিরে সমালোচিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে আরও এক বিস্ফোরক উক্তি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সরকার আর নিজের হাতে বিশেষ কিছু রাখবে না। কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া সব কিছুই বেসরকারিকরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার বহুদিন থেকেই সরকারি একাধিক সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছেন। এ বছর বাজেট পেশের সময়ও সরকারি ব্যাংকগুলিকে বেসরকারিকরণের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। এবার প্রধানমন্ত্রীর গলাতেও একই সুর। তিনি জানালেন, সরকারের কাজ ব্যবসা ক্ষেত্রে সাহায্য করা। কোনও ব্যবসা চালানো বা শিল্প সংস্থার মালিক হওয়া নয়। এদিন কার্যত তিনি স্পষ্টভাবে জানিয় দিলেন ব্যবসা করা বা শিল্প সংস্থা চালানোর পথে এখন হাঁটতে চাইছে না সরকার। বরং বেসরকারিকরণের দিকে জোর দিলেন তিনি। তাঁর মতে সরকার ব্যবসা করলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কারণ সরকারকে অনেক নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই বেসরকারিকরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই জানা যায় ৪টি ব্যাংক বেসরকারি করার দিকে ঝুঁকেছে কেন্দ্র। সরকারের লাভের খাতিরেই এই ব্যাংকগুলির বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে। যে চারটি ব্যাংকের নাম এখন সরকার শর্ট লিস্ট করেছে সেগুলি হল ব্য়াংক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক ও সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। তবে এখনও এই কথা ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে থেকে দুটি ব্যাংককে বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নেওয়া হবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে। এপ্রিলে অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার পরই ওই দুটি ব্যাংকের নাম জানা যাবে। প্রথম পর্যায়ের বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে সরকার ছোট ও মাঝারি ব্যাংকগুলিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে বড় ব্যংকগুলিও বেসরকারিকরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শোনা গিয়েছে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংককে যাতে দ্রুত বেসরকারিকরণ করা যায় তেমনই চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এতে সমস্যা হতে পারে প্রবল। বাধা আসতে পারে ব্য়াংকে কর্মচারী সংগঠনের দিক থেকে। তাই ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির। সরকারের বক্তব্য ব্যাংকের কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এর বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি সম্পূর্ণ উলটো। তাদের মতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.