অক্ষরের নজির
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেকে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। নিজের শহরে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে টানা দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। ১৯৩২-৩৩ সালে মহম্মদ নিসারের পর এমন নজির ছিল নরেন্দ্র হিরওয়ানির। তাঁদের পর তৃতীয় ভারতীয় স্পিনার হিসেবে অভিষেক টেস্ট ও তার পরের টেস্টে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেলেন অক্ষর। তাঁর পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত হরভজন সিং টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, অসাধারণ বোলিং, চালিয়ে যাও। সুনীল গাভাসকরও অক্ষরের বোলিং বৈচিত্র্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, সব বল না ঘুরিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়েছেন অক্ষর ও অশ্বিন। ইংল্যান্ড চেন্নাই টেস্টে বিপর্যয়ের পর রান না করে উইকেট বাঁচাতে মনোযোগী বেশি ছিল। ভেবেছিল সব বল ঘুরবে। তাতেই সোজা বলে এত উইকেট পেয়েছেন স্পিনাররা।
অশ্বিন চারশোর আরও কাছে
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট পাওয়ায় টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেটসংখ্যা হলো ৩৯৭। আউট করেছেন রুট, পোপ আর লিচকে। এই টেস্টেই চারশোর ক্লাবে ঢুকে পড়া কার্যত নিশ্চিত। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার গ্রেম সোয়ান বলেছেন, অশ্বিনকে সামলানো খুবই দুঃসাধ্য কাজ। আনপ্লেয়েবল!
রাহুল গান্ধীর ভাষণ দিয়ে খোঁচা
বীরেন্দ্র সেওয়াগ ইংল্যান্ডের বিপর্ষয় দেখে রাহুল গান্ধীর এক ভাষণের ফুটেজ পোস্ট করে খোঁচা দিয়েছেন। তাঁর সেই টুইট রিটুইট করে হরভজন লিখেছেন, ক্ল্যাসিক বীরু! আট সেকেন্ডের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী বলছেন, এসেই হাত তুলে টাটা, বাই-বাই, গুডবাই, গ্যায়া। বাস্তবে এটাই ছিল ইংল্যান্ডের অবস্থা। রুট টস জেতার পর টুইটে কেভিন পিটারসেন লিখেছিলেন, উপস ইন্ডিয়া! আশা করছি টস জেতো ম্যাচ জেতোর মতো উইকেট হবে না। ভারতকে খোঁচা দিতে চাইলেও বাস্তবে তা হয়নি। ইংল্যান্ডই খাদের কিনারায়। কেপি-র টুইটের জবাব বিরাটরা মাঠেই দেওয়ায়, ইংল্যান্ড অল আউট হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে আর টুইট করেননি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আশা ছাড়লেন ভন
প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন এদিনও ইংল্যান্ডের সমালোচনায় মুখর। তিনি প্রথমে টুইটে লেখেন, জ্যাক ক্রলি রোহিত শর্মার মতো ব্যাট করছে। একটু পরেই বিপর্যয় দেখে তাঁর টুইট, ইংল্যান্ড এমন ব্যাট করছে যাতে গোধূলিতে আলোয় বল করতে পারে। সোজা বলও খেলতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় টেস্টের আতঙ্ক থেকে এখনও বের হতে পারেনি দল। এ ধরনের পরিবেশে খেলার মতো প্রস্তুতই নন এই দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। বিশ্বের সেরা দলের বিরুদ্ধে এই সিরিজে ইংল্যান্ডের দল নির্বাচন যেন প্রিমিয়ার লিগে এফএ কাপের প্রথম রাউন্ডের মতো দল গড়া।