দিল্লি: সামান্য একটু শীত বাড়লেই আমরা ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে থাকি। লেপের তলায় হাত গুটিয়ে ভাবতে থাকি এতো ঠাণ্ডায় কীভাবে কাজ করবো। আবার কেউ কেউ তো স্নান করাও বন্ধ করে দেয়। অনেকে যায় না অফিস। শুধু আগুনের সামনে থেকে তাপ পোহানোই আসল হয়ে দাঁড়ায় এই সময়ে। তবে আমাদের এখানে শীতকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাঁচ, সাত বা ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে থাকে। অথচ এই পৃথিবীতেই আছে এমন এক গ্রাম যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যায় ৭০ ডিগ্রিতে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ভাবতে পারছেন তাহলে সেখানে জীবনযাপন ঠিক কতটা কঠিন?

ওয়মিয়াকন নামে সাইবেরিয়ার ওই গ্রামে এমন অবস্থা হয়। এ রকম ভয়ানক বা প্রতিকূল পরিবেশও বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামগুলোতে মানুষ বসবাস করছেন সুস্থভাবেই। সাইবেরিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৩৩০০ মাইল দূরবর্তী এই গ্রামটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম গ্রাম। এখানে বছর জুড়ে এতোটাই ঠাণ্ডা পড়ে যে, মঙ্গলগ্রহ থেকেও বেশি শীতল মনে করা হয় এই অঞ্চলটিকে। ১৯২৪ সালে এখানে একবার তাপমাত্রা মাইনাস ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। অত্যাধিক ঠাণ্ডার কারণে যেমন কোনো চাষবাস হয় না তেমন কোনো ফসল হয় না ওয়মিয়াকনে। বলগা হরিণ পালন করা হয় আর তার মাংস আর স্যুপ এখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় না থাকলেও, বেশিরভাগ সময় ইঞ্জিন চালু করে রাখতে হয়। নইলেই জমে যায় ইঞ্জিন।

আরো পোস্ট-  মাস্ক না পরায় ৩০ কোটি ৫০ লক্ষ জরিমানা!

৫০০ লোকের বসবাস যেখানে সেখানে থাকার চেয়েও মরে যাওয়ার পর বেশি যন্ত্রনা হয় মৃতদেহের। বরফ শীতল এই পরিবেশে মানুষকে শায়িত করার জায়গা না পাওয়ায় সেক্ষেত্রে মৃতদের ভর্তি কফিন সমাধিস্থ করার আগে কবর খননের জন্য আগুন জ্বালিয়ে বরফযুক্ত মাটি কাটতে হয় তাদেরকে। অন্তত তিন-চার দিন ধরে চলে বরফ কাটার প্রক্রিয়া। তবে এতো বিচিত্রতা ও কঠিনতার মাঝেও যে প্রকৃতির গতি রুদ্ধ না করেই সেখানে প্রাণের বিকাশ হচ্ছে এটা ভাবলেই অবাক লাগে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।