মোতেরা: কপিলদেব নিখাঞ্জের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ফাস্ট বোলার হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ। বুধবার নবনির্মিত মোতেরায় ‘ল্যাঙ্কি’ পেসার ইশান্ত শর্মার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। একাদশ ভারতীয় ক্রিকেটার এবং দেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলেন দিল্লির ফাস্ট বোলার। পিঙ্ক বল ম্যাচ শুরুর প্রাক্কালে মোতেরার দর্শকপূর্ণ গ্যালারির মাঝে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে বিশেষ স্মারক গ্রহণ করেন ইশান্ত।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ইশান্তের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। আর ইশান্তের পাশে বিশেষ দিনে এদিন ছায়া হয়ে দেখা গেল আরেক ‘দিল্লি বয়’ দলনায়ক বিরাট কোহলিকে। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে বিশেষ স্মারক গ্রহণ করার আগে তাঁকে করজোড়ে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানান দিল্লি পেসার। স্মারক ছাড়াও ইশান্তের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ ক্যাপ। সস্ত্রীক ইশান্ত এরপর স্মারক হাতে ছবিও তোলেন।

এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শুরু আগে মাঠে প্রবেশের সময় ইশান্তকে ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করেন দলের সতীর্থরা। এর আগে ভারতীয় বোলার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার নজির ছিল অনিল কুম্বলে (১৩২) এবং হরভজন সিং’য়ের (১০৩) ঝুলিতে। শততম টেস্টে ইশান্তকে সংবর্ধিত করার মুহূর্ত টুইটারে পোস্ট করা হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও। উল্লেখ্য, পিঙ্ক বল টেস্ট শুরুর আগে ৯৯টি আন্তর্জাতিক টেস্টে ৩২ বছরের ইশান্তের ঝুলিতে রয়েছে ৩০২ উইকেট।

১৬ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে সেবা করে আসছেন দিল্লির ‘ল্যাঙ্কি’ পেসার ইশান্ত। চোট-আঘাত কিংবা খারাপ ফর্ম পেরিয়েও কেবল সংকল্পের জোরে এই মুহূর্তে ইশান্ত পাঁচদিনের ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসার মুখ। ম্যাচের আগেরদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় থেকে ইশান্তের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন অধিনায়ক কোহলি।

আর মাইলস্টোন ম্যাচে নামার আগে প্রাক্তন সতীর্থ জাহির খানকে কৃতিত্ব দিয়ে ইশান্ত জানান, ‘প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের জীবনে উত্থান-পতন থাকে৷ আমার জীবনেও সেটা হয়েছে৷ তবে ১০০ তম টেস্ট খেলতে নামার অনুভূতিই আলাদা৷ জাহির খানের কাছ থেকে প্রচুর শিখেছি৷ ওর কাছ থেকে ওয়ার্ক এথিক্স শিখেছি৷ দলের প্রত্যেককে বলি, খেলে যেতে হলে ফিটনেসে নজর জিতে হবে৷ তাহলেই পুরস্কার পাবে৷’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।