নয়াদিল্লি: বিধানসভা ভোট শিয়রে। জোট বেঁধে একুশের লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেস। সপ্তাহ খানেক ধরেই বাম-কংগ্রেসের এই জোটে আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে সামিল করতে তৎপরতা তুঙ্গে। বিশেষতা বামেরা আব্বাসের দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে অনেক দূর এগিয়েছে।

তবে আব্বাসের দলকে আসন ছাড়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। যা নিয়ে জোট জট অব্যাহত। ভোটের মুখে সেই জট কাটাতে এবার তৎপর হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দ্রুত জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

একুশের ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। ভোট ময়দানে কোনও পক্ষই কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ। লড়াই এবার সেয়ানে-সেয়ানে। এমনই বলছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকদের একাংশ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধঝে লড়ছে বাম ও কংগ্রেস।

যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলছে দুই দল। বান ও কংগ্রেসের মধ্যে জোটে কোনও তিক্ততা নেই। তবে সমস্যা আব্বাসের দলকে নিয়ে। একুশের ভোটে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায় বাম ও কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বামেদের সঙ্গে আসন নিয়ে অনেকটা কথাবার্তা এগিয়েছে আব্বাসের দলের।

আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে তাঁদের দাবি মতো বেশ কিছু আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে বামেরা। যা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে মৃদু মন কষাকষিও হয়েছে সিপিএমের। তবে জট থেকে যাচ্ছে কংগ্রেসের ভূমিকায়। আব্বাসের দলকে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে একটি আসনও ছাড়তে রাজি নয় প্রদেশ কংগ্রেস।

যা নিয়ে ক্ষুব্ধ আব্বাস। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভের কথা জানিয়েওছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত পুরনো অবস্থানেই অনড় কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের দাবি, জোট শর্ত মানতে গিয়ে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় আব্বাসের দলকে আসন ছাড়লে আদতে দলের সাংগঠনিক শক্তিই দুর্বল হবে। কারণ ওই দুই জেলাতেই কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে।

সেই কারণেই আব্বাসের দলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বাম-কংগ্রেসের পোক্ত জোটের কথা ঘোষমা করা যাচ্ছে না। আব্বাসের দলকে সঙ্গে নিয়ে চললে ভোটের সমীকরণে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতাদের একাংশ। বিষয়টি কানে যেতেই তৎপর হয়েছেন খোদ সোনিয়া গান্ধী।

মতান্তর কাটিয়ে কীভাবে মতানৈক্যে পৌঁছনো যায়, সেব্যাপারে তৎপর হতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের। আব্বাসেক জলের সঙ্গে সম্মানজনক জোট স্থির করতে ইতিমধ্যেই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।