রাতেই তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের ফোন করে সিদ্ধান্ত
ভোটের মুখে হঠাৎ কৃষ্ণেন্দু নরায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে রাজ্য সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের ফোন করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিনটি নিরাপত্তারক্ষী ছিল কৃষ্ণেন্দুর। হঠাৎ কেন নিরাপত্তা প্রত্যাহার তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। যদিও এই বিষয়ে দলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
একজন নিরাপত্তাই তোলার কথা বলা হয়েছে
এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী তিনজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন। একজন মাত্র নিরাপত্তারক্ষীই তোলা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু বাকি দুজনকে তৃণমূল নেতা তিনি নিজেই ছেঁড়ে দিয়েছেন বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর তরজা।
জেলায় গুরুত্ব বাড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের পরেই গুরুত্ব বাড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর। মালদহ জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয় কৃষ্ণেন্দুকে। তবে মোয়াজ্জেমেরও গুরুত্ব বাড়িয়ে তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে। হঠাৎ এই রদবদল নিয়ে উঠতে থাকে নানান প্রশ্ন। কৃষ্ণেন্দুর গেরুয়া শিবিরে যুক্ত হওয়া আটকাতে এই পদক্ষেপ? নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে ঠেকাতে কৃষ্ণেন্দু তাস খেলল তৃণমূল? কারণ মালদহের রাজনীতিতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর যথেষ্ট সংগঠন রয়েছে। আর সেটাই কাজে লাগাতে চাইছে শাসলদল তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু হঠাৎ প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে উঠছে বিভিন্ন জল্পনা।